আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

৯বম অধ্যায় হযরত রাবেয়া বসরীর আল্লাহর উপর নির্ভরতার প্রমাণ

লেখকঃমোঃরবিউল ইসলাম 

৯বম অধ্যায় হযরত রাবেয়া বসরীর আল্লাহর উপর নির্ভরতার প্রমাণ


আল্লাহ ছাড়া আর কারো উপর নির্ভর করার ব্যাপারে রাবেয়ার অনীহার কথা একই লেখক কর্তৃক অপর একটি বর্ণনায় এসেছে তিনি বলেন যে একদা হাসান তার সাথে দেখা করতে আসেন। তখন তিনি একজন বণিককে রাবেয়ার  কুড়ির দ্বারে একটি স্বর্ণমুদ্রা পূর্ণ থলি হাতে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখলে,হাসান বললেন-হে বণিক তুমি কাঁদছো কেন সে বলল আমাদের যুগে এই তাপসী রাবেয়া জন্য,কারণ লোকদের উপর তার আশীর্বাদ যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে মানবকূল ধ্বংস হয়ে যাবে।এবং সে আরও বললো আমি তার জন্য কিছু নজরানা এনেছি কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে যে তিনি হয়তো তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করবেন।আপনি আমার হয়ে একটু সুপারিশ করবেন,যাতে তিনি তা গ্রহণ করেন। হাসান ভিতরে প্রবেশ করলেন এবং রাবেয়াকে ও ব্যাপারে বললেন। রাবেয়া হাসানের প্রতি রাগান্বিত দৃষ্টিতে চেয়ে বললেন যিনি তাদের কেউ প্রতিপালন করেছেন।যারা তাকে গালাগালি দেয় তিনি কি তাদেরকে প্রতিপালন করছেন যারা তাকে ভালোবাসে।  যে তার সম্বন্ধে অভব্য কথাবার্তা বলে তার জীবিকা বন্ধ করেন না।অতএব যার আত্মা তার জন্য ভালোবাসা ভরপুর,তার জীবিকা তিনি কি করে বন্ধ করতে পারেন। যেদিন থেকে আমি তাকে জেনেছি সেদিন থেকেই আমি তাদের প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছি। আমি কি করে এমন একজন লোকের ধন নিতে পারি যার ব্যাপারে আমি জানিনা,যে সে ওই ধন বৈধভাবে উপার্জন করেছে কিনা...? আপনি ওই বণিককে  আমার ওজর পেষ করুন,যাতে আমার বন্ধনে জড়িয়ে না পড়ে।

একবার তার পীড়া কালে তার কয়েকজন দর্শনার্থীদের কাছে পূর্ণ আত্মনিবেদন বিহারের ব্যাপারে রাবেয়া আক্তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেন। এরা ছিলেন আবদুল ওয়াহিদ আহমদ ও তার বরাবরের সাক্ষাতকারী সুফিয়ান।
 আমর বর্ণনা করেছেন আমি এবং সুফিয়ান সাওরী তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। যখন তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন এবং ভয়ের কারণে আমি বাক্যলাপ শুরু করতে সমর্থ হয়নি। আমি সুফিয়ান কে বললাম আপনি কিছু বলুন তিনি রাবেয়াকে বললেন যদি আপনি একবার মুখ ফুটে চান তাহলে আপনার কষ্ট দূর করে দেবেন। রাবেয়া  সুফিয়ানের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন-হে সুফিয়ান আপনি কি জানেন না কার ইচ্ছায় আমার এই অসুখ এই সাজার তিনি কি স্বয়ং আল্লাহ নন তিনি...? সুফিয়ান বললেন হ্যা
রাবেয়া বললেন আপনি যখন তা জানেন তখন কেন আবার আমাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রার্থনা করতে বলেছেন...?  প্রেমাস্পদের বিরুদ্ধাচার করা তো ভালো কাজ নয় সুফিয়ান তখন বললেন হে রাবেয়া আপনার অভিলাষ কি...?
 তিনি উত্তর দিলেন হেতু পিয়ানো আপনি একজন বিদ্বান ব্যক্তি অথচ কি করে আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন এমন প্রশ্ন কি আপনার অভিলাষ...?
আল্লাহর মহিমায় বিগত 12  (বার) বছর ধরে আমার তাজা খেজুর খাওয়ার খুব ইচ্ছা এবং আপনি জানেন বসরায় খেজুর পাওয়া যায় কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি তা আজ পর্যন্ত খাই নি। আমি একজন দাসী এবং
আল্লাহ ছাড়া আর কারো উপর নির্ভর করার ব্যাপারে রাবেয়ার অনীহার কথা একই লেখক কর্তৃক অপর একটি বর্ণনায় এসেছে তিনি বলেন যে একদা হাসান তার সাথে দেখা করতে আসেন। তখন তিনি একজন বণিককে রাবেয়ার কুড়ির দ্বারে একটি স্বর্ণমুদ্রা পূর্ণ থলি হাতে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখলে,হাসান বললেন-হে বণিক তুমি কাঁদছো কেন সে বলল আমাদের যুগে এই তাপসী রাবেয়া জন্য,কারণ লোকদের উপর তার আশীর্বাদ যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে মানবকূল ধ্বংস হয়ে যাবে।এবং সে আরও বললো আমি তার জন্য কিছু নজরানা এনেছি কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে যে তিনি হয়তো তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করবেন।আপনি আমার হয়ে একটু সুপারিশ করবেন,যাতে তিনি তা গ্রহণ করেন। হাসান ভিতরে প্রবেশ করলেন এবং রাবেয়াকে ও ব্যাপারে বললেন। রাবেয়া হাসানের প্রতি রাগান্বিত দৃষ্টিতে চেয়ে বললেন যিনি তাদের কেউ প্রতিপালন করেছেন।যারা তাকে গালাগালি দেয় তিনি কি তাদেরকে প্রতিপালন করছেন যারা তাকে ভালোবাসে। যে তার সম্বন্ধে অভব্য কথাবার্তা বলে তার জীবিকা বন্ধ করেন না।অতএব যার আত্মা তার জন্য ভালোবাসা ভরপুর,তার জীবিকা তিনি কি করে বন্ধ করতে পারেন। যেদিন থেকে আমি তাকে জেনেছি সেদিন থেকেই আমি তাদের প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছি। আমি কি করে এমন একজন লোকের ধন নিতে পারি যার ব্যাপারে আমি জানিনা,যে সে ওই ধন বৈধভাবে উপার্জন করেছে কিনা...? আপনি ওই বণিককে আমার ওজর পেষ করুন,যাতে আমার বন্ধনে জড়িয়ে না পড়ে।

একবার তার পীড়া কালে তার কয়েকজন দর্শনার্থীদের কাছে পূর্ণ আত্মনিবেদন বিহারের ব্যাপারে রাবেয়া আক্তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেন। এরা ছিলেন আবদুল ওয়াহিদ আহমদ ও তার বরাবরের সাক্ষাতকারী সুফিয়ান।
 আমর বর্ণনা করেছেন আমি এবং সুফিয়ান সাওরী তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। যখন তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন এবং ভয়ের কারণে আমি বাক্যলাপ শুরু করতে সমর্থ হয়নি। আমি সুফিয়ান কে বললাম আপনি কিছু বলুন তিনি রাবেয়াকে বললেন যদি আপনি একবার মুখ ফুটে চান তাহলে আপনার কষ্ট দূর করে দেবেন। রাবেয়া সুফিয়ানের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন-হে সুফিয়ান আপনি কি জানেন না কার ইচ্ছায় আমার এই অসুখ এই সাজার তিনি কি স্বয়ং আল্লাহ নন তিনি...? সুফিয়ান বললেন হ্যা
রাবেয়া বললেন আপনি যখন তা জানেন তখন কেন আবার আমাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রার্থনা করতে বলেছেন...? প্রেমাস্পদের বিরুদ্ধাচার করা তো ভালো কাজ নয় সুফিয়ান তখন বললেন হে রাবেয়া আপনার অভিলাষ কি...?
 তিনি উত্তর দিলেন হেতু পিয়ানো আপনি একজন বিদ্বান ব্যক্তি অথচ কি করে আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন এমন প্রশ্ন কি আপনার অভিলাষ...?
আল্লাহর মহিমায় বিগত 12 (বার) বছর ধরে আমার তাজা খেজুর খাওয়ার খুব ইচ্ছা এবং আপনি জানেন বসরায় খেজুর পাওয়া যায় কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি তা আজ পর্যন্ত খাই নি। আমি একজন দাসী এবং আমার অভিলাষের সঙ্গে কি সম্পর্ক। যদি আমি কোন জিনিস আকাঙ্ক্ষা করি জামার প্রভুর অভিপ্রেত নয়। তাহলে তা তো অধর্ম যা তিনি চান তাই আমার চাওয়া উচিত তবেই তো তার প্রকৃত দাসি হওয়া যাবে। যদি তিনি স্বয়ং কোন জিনিস দেন তাহলে তা অন্য কথা।সুফিয়ান নির্বাক হয়ে গেলেন এবং ও ব্যাপারে আরেকটি কথা বললেন না।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ