লেখক: মো: রবিউল ইসলাম
১ম অর্ধায়
হযরত রাবেয়া বসরী (রহ:) -এর জন্ম ঘটনা
হযরত রাবেয়া ৯৫ মতান্তরে ৯৯ হিজরী সনের (৭১৭ খ্রিস্টাব্দে সময়ে বসরায় জন্মগ্রহ করেন)
শায়খ ফরীদ আল- দ্বীন আত্তারের বর্ণনানুসারে, তার জন্ম হয় এক দরিদ্রতম কুটিরে ( যদিও যৈনক আধুনিক লেখকের মতে, তিনি বসরার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের লোক ছিলেন)।
তার পিতার নাম ছিলো ইসমাঈল আর মাতার নাম ছিল মায়ফুল তারা উভয়েই পরম ধার্মিক ছিলেন। এবং তার জন্মলগ্নেই অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল। আত্তার বলেন যে রাতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন সে রাতে ঘরে কোনো তেল ছিল না। অথবা নবজাতককে জড়িয়ে রাখার মত কোন বস্ত্রখণ্ড ছিল না। তার পিতার আরো তিনটি কন্যা ছিল আর তাই তার নাম রাখা হয়েছিল রাবেয়া। তার মা তার স্বামীকে কোন প্রতিবেশীর কাছে গিয়ে একটু তেল চেয়ে আনতে বলেন, কিন্তু তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে কোন সৃষ্টযীবের কাছে কখনো কিছু চাইবেন না। ( অর্থাৎ একজন প্রকৃত সুফির মতো তিনি শুধু আল্লাহর উপরই নির্ভর করবেন। তার প্রয়োজন মেটাবার জন্য)।
আর তাই তিনি তেল ছাড়াই ফিরে এলেন নবজাতকের জন্য। প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অভাবজনিত মনকষ্ট নিয়ে, তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন এই অবস্থায় তিনি স্বপ্ন দেখলেন। যে নবী মুহাম্মদ (সা:) তার কাছে এসে বলছেন তুমি মন খারাপ করো না তোমা এ নবজাত কন্যা একজন বিরাট ওলী। যার সুপারিশ আমার সম্প্রদায়ের ৭০ হাজার লোকের কাম্য হবে। নবীজি আরও বলেন বক্তা আমির ঈশা জাদানকে তুমি কাল সকালে একটি পত্র দাও এই মর্মে যে প্রতি রাতে আমার উপর এক সত বার দরুদ পাঠ করতে এবং শুক্রবার রাত্রিতে চার শত বার কিন্তু বিগত শুক্রবার রাত্রিতে সে আমাকে ভুলে গেছে এবং তার প্রাশ্চিত্য স্বরূপ তাকে বল সে যেন অবশ্যই তোমাকে চারশত স্বর্ণমুদ্রা দান করে। যা বৈধভাবে উপার্জিত।
রাবেয়ার পিতার ঘুম ভেঙে গেল এবং তিনি তখন কাঁদছিলেন। তিনি উঠে পড়লেন এবং নির্দেশমতো চিঠিটি লিখে আমিরের একজন ভৃত্যের মারুফত তার কাছে পাঠিয়ে দিলেন। আমির চিঠিটা পড়ে বলে উঠলেনঃ গরিব-দুঃখীদের কে ২০০০ হাজার স্বর্ণমুদ্রা বিতরণ করে দাও এর কৃতজ্ঞতা স্বরূপ।কারণ নবীজি আমাকে স্মরণ রেখেছিলেন। এবং ঐ শেখকে দাও ৪০০শত স্বর্ণমুদ্রা, এবং তাকে বলে পাঠাও, যে তিনি যেন আমার সামনে আসেন যাতে আমি তার দর্শন লাভ করতে পারি। কিন্তু এটা তো মোটেই শোভন নয়, যে তার মত একজন ব্যক্তি আমার কাছে আসবেন। আমি যাব এবং আমার দাড়ি দিয়ে তার দোরগোড়া ঝাঁট দিয়ে আসব।
0 মন্তব্যসমূহ