আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

৭প্তম অর্ধায় রাবেয়ার শিষ্য সহচর

লেখক:মো: রবিউল ইসলাম 

৭প্তম অধ্যায় রাবেয়ার শিষ্য সহচর


রাবেয়া শিষ্য সহ জনসংখ্যা ছিল অনেক যারা রাতদিন তার বাড়িতে আসছেন। তার পরামর্শ নিতে অথবা তার শুভাশিস চাইতে। অথবা তার ধর্ম কথা শুনতে।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে তার জীবনীকারগন তাকে সর্বদা হাসানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত করে দিয়েছেন, অথচ তারা আবার তাকে রাবেয়া শিষ্য অনুসারী রূপে চিহ্নিত করেছেন। যদিও তিনি বয়সে  রাবেয়া থেকে অনেক বড় অতঃএব হাসান সাম্প্রতিক কাহিনীগুলি এরাবিয়ান নাম প্রক্ষিপ্ত হয়েছে নয়তো রাবেয়ার সম্পর্কিত কাহিনী গুলির রাবেয়ার সমসাময়িক অন্য কোন সতীত্বের সাথে হাসানের নাম ঠিকানা হয়েছে। হাসান ছিলেন প্রাচীনতম সুফিদের অন্যতম। এমন একজন কালজায়ি ধর্মবিশ্বাস ছিল এতটাই সমাচ্ছন্ন যে যে ব্যক্তি 1000 বছর নরকবাসের পরে মুক্তি লাভ করবে তাকে তিনি ঈশ্বা করে বলেছিলেন। আহা আমি যদি এই লোকটির মত হতাম
হাসান একজন বিদ্বান ও বিরাট ধর্মীয় বক্তা ছিলেন আনুষ্ঠানিক উপাসনায় তিনি ছিলেন দৃঢ়মনা এবং সর্বদা এক ঐশি বিষাদে নিমগ্ন থাকতেন। ধর্মতাত্ত্বিক বহু গ্রন্থের প্রণেতা এবং সূফীতত্ত্বের উপর তার মতবাদ তার উত্তর শরীরের উপর বিরাট প্রভাব ফেলেছিল। তিনি ইন্তেকাল করেন ৭২৮ খ্রিস্টাব্দে।

আত্তার বর্ণনা করেছেন, যে যদি হাসানের কোন ধর্ম সভায় রাবেয়া না থাকতেন তাহলে তিনি তৎক্ষণাৎ সে সভা ত্যাগ করতেন।
এই লেখক বর্ণনা করেছেন যে, হাছান রাবেয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের ব্যাপারে বলেছেন। পথ এবং সত্য সম্বন্ধে আলোচনায় রাবেয়ার সঙ্গে পূর্ন একটি দিন আমি অতিবাহিত করেছিলাম। এবং আমার মনের কথা একবারও উদয় হয়নি যে আমি একজন পুরুষ এবং তার মনের এ কথা আসেনি যে তিনি একজন নারী। অবশেষে আমি যখন তার দিকপাদ করলাম। তখন আমি নিজেকে একজন দেউলিয়া অর্থাৎ আর্থিকভাবে মূল্যহীন রূপে দেখতে পেলাম। এবং রাবেয়াকে খাঁটি সাধক রূপে।

পুনরায় তিনি একটি গল্প বলেছেন যে, একদিন যখন রাবেয়া হাসানের বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন হাসান জানালা দিয়ে মাথা বের করে কান্না করেছিলেন। এবং তার অশ্রু রাবেয়ার কাপড়ে পড়ে ছিল রাবেয়া মাথা তুলে তাকালেন। বৃষ্টিতে না দেখতে এবং যখন তিনি নিশ্চিত হলেন যে তা হাসানের অশ্রু তখন তিনি তৎক্ষণাৎ তার কাছে গিয়ে বললেন। হে গুরুদেব এ কান্না হচ্ছে আত্ম-অহংকার প্রসূত বরং নিজের অন্তরের দিকে দৃষ্টিপাত করে অশ্রুপাত করুন। তাহলে আপনার মধ্যে এমন এক নদী সৃষ্টি করবে যে নদীর মধ্যে অনুসন্ধান করলেও আপনি আর আপনার অন্তরকে খুঁজে পাবেন না যতক্ষণ না আবার মহাশক্তিধর প্রভুর সকাশে তাকে খুঁজে পান। হাসান নিজেকে কিছু একটা মনে করতেন তাই এই মন্তব্য তার কাছে একটু নির্মম ঠেকলো। এবং তিনি চুপ করে রইলেন,

আবু বাকার আল সাররাজ বর্ণিত। রাবাহ এবং রাবেয়া সম্পর্কে একটি গল্পের উৎস হলেন আবু  নুআঈম। আবু মামুন আব্দুল্লাহ বিন আমর বলেছেন আমি রাবেয়া কে রাবার সঙ্গে দেখলাম।এবং রাবার পরিবারভুক্ত একটি বালককে  ধরে চুম্মন দিচ্ছিলেন এবং রাবেয়া বললেন তুমি কি ওকে ভালবাসো তিনি বললেন হ্যাঁ রাবেয়া বললেন আমি ধারণা করিনি তোমার অন্তরে আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসার স্থান রয়েছে। চিৎকার করে উঠলেন এবং মুছরিত হয়ে পড়লেন। যখন তার জ্ঞান ফিরে এলো তখন তিনি তার কপালের ঘাম মুছে ফেলে বললেন স্নেহ অনুকম্পা মহামাহিম আল্লাহ তাআলার কাছ থেকেই আসে এবং তিনি তার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য তার দাসদের অন্তরে স্থাপিত করেছেন। 

রাবেয়া সমস্ত জীবনী সুফিয়ান আল শাউড়ি কে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও তার বাড়িতে আহরণ যাতায়াতকারী রূপে উল্লেখ করা হয়েছে। এবং যে সমস্ত শিক্ষা দেয়া প্রদত্ত বলে গণ্য তার অধিকাংশ হলো তার সঙ্গে রাবেয়ার কথোপকথন জিজ্ঞাসাবাদের ফলশ্রুতি আল্লাহরই।
 ৯৫ হিজরী সনে৭১৩ খ্রিস্টাব্দে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন। এবং ৭৬৮ খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন। অতএব তিনি ছিলেন রাবেয়ার সমসাময়িক লোক আর তাই একথা যুক্তিযুক্ত যে তিনি রাবেয়ার সংস্পর্শে এসেছিলেন তিনি হাদীসের উপর একজন বিরাট নির্ভরযোগ্য পন্ডিত ছিলেন। রাবেয়া একাধিকবার তাকে এগুলি প্রতি তাঁর আসক্তির জন্য তিরস্কার করেছিলেন। বলেও উল্লেখ করা আছে।

 আবু তালিব এব্যাপারে বর্ণনা করেছেন রাবেয়া আল-আদাবিয়া আল সাবরি সম্পর্কে বলতেন সুফিয়ান একজন ভাল লোকের হতেন যদি না তিনি হাদীসকে ভালোবাসতেন। এবং তিনি আরো বলেন হাদিসের সম্মোহনী শক্তি সম্পদ ও সন্তানের প্রলোভনের চেয়েও বেশি প্রবল। অর্থাৎ হাদীস শাস্ত্র অধ্যয়ন তাকে আল্লাহ জীবন থেকে ঝুলিয়ে রেখেছিল,এমনকি পার্থিব সম্পদ অর্জনের যতটা স্বীকার পার্থ তার থেকে বেশি করে এবং তিনি একবার বলেছিলেন। যদি নাও সুফিয়ান এই জগতে ভালোবাসতো অর্থাৎ হাদিস যৌবনে তার চারিদিকে সমবেদনা মন্ত্রী কে তাহলে কি লাভ হইনা হতো।
 লেখক লিখেছেন যে একদিন সুফিয়ান কে বলেছিলেন হে আল্লাহ তুমি যেন আমাদের উপর সন্তুষ্ট থাকো।
 আর রাবেয়া বলেছিলেন আল্লাহ সামনে তোমার কি লজ্জা বোধ হয় না। তিনি তোমার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান এই প্রার্থনা করতে যেখানে তুমি তার উপর সন্তুষ্ট নয়। এবং তিনি সুফিয়ান বলেছিলেন আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইছি। আরো বর্ণিত আছে সুফিয়ান কিছুটা অভিনয় পরায়ন অথবা কমপক্ষে রাবেয়াকে পরিচিত করে তার কাছ থেকে প্রতিঘাত তাকে বলেছিলেন (আমার দুঃখ আমার পাপের জন্য)। আমনি রাবেয়া প্রত্তুক্তি  করেছিলেন। মিথ্যা কথা বলো না, বরং বল, আপেক্ষ আমার দুঃখ না হওয়ার জন্য। এবং যদি তুমি প্রকৃতই দুঃখিত হতে তাহলে জীবন তোমার কাছে বিশ্বাদ হয়ে যেত। এমনকি তাঁর জীবনকালে তার শিষ্যদের কাছে তার সুপারিশ কত মূল্যবান ছিল তা একজন ব্যক্তির বর্ণনা থেকে পাওয়া যায়। তিনি বলেছিলেন আমার জন্য প্রার্থনা করুন। আর বলেছিলেন তুমি তোমার মালিকের হুকুম মেনে চলো। এবং তার কাছে প্রার্থনা করো কারণ তিনি প্রার্থনাকারী কে জবাব দেবেন যখন সে প্রার্থনা করবে। একাধিক উপাখ্যানে সেগুলির পরমান্ন তা সন্দেহযুক্ত। বিখ্যাত মিশরীয় সুফি জীবনের সঙ্গে রাবেয়ার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এইজন্য সুফিবাদের প্রধান প্রবক্তা দের অন্যতম এবং বিশেষভাবে বিজ্ঞানের প্রবক্তা লাভ করা যায় না। একমাত্র অভিজ্ঞতা লাভ করতে হয়। তিনি একত্ববাদ সংক্রান্ত ধারণার বিশদ ব্যাখ্যা করেছেন। এবং একজন অলির প্রতি আল্লাহর ভালোবাসা আল্লাহর প্রতি একজন অলির ভালোবাসাকে বুঝতে। তাদের মতো শব্দ ব্যবহার করেছেন। তিনি ৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে মারা যান। প্রায় অর্ধশত বেশি বেঁচে ছিলেন তিনি অবশ্যই এটা খুবই সম্ভব যে তার জীবনের প্রথমদিকে রাবেয়া সঙ্গে তাঁর দেখা হয়ে থাকতে পারে এ দুজনকে জড়িয়ে একটি গল্প আছে যা বেশ মজার, এবং বর্ণনাকারী হলেন আল সাদ বিন ওসমান। তিনি বলেন, আমি মিশরের জো-আল নুনের সঙ্গে ছিলাম। ইত্যবসরে একজন লোক এসে উপস্থিত হলেন। আমি বললাম হে গুরুদেব একজন লোক এসেছেন তিনি আমাকে বললেন, দেখো কে এসেছে কারণ এখানে আমার বন্ধুরা ছাড়া আর কেউ পদার্পণ করতে পারেন না।  এবং আমি বললাম আগন্তুক একজন স্ত্রীলোক এবং তিনি বললেন কাবার প্রভুর শপথ তিনি একজন বন্ধু। অতঃপর তিনি দৌড়ে গিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানালেন এবং বললেন আমি আপনার ভাই যু-আল নুন এবং এখানে আমার কেউ উপস্থিত নাই অর্থাৎ বহিরাগত কেউ নাই এবং তিনি বললেন আল্লাহ আপনার আত্মাকে শান্তি সঙ্গে অভ্যর্থনা করুক তখন যুয়াল নুন বললেন কিসে আপনাকে এই স্থানে প্রবেশ করালো। তিনি বললেন আল্লাহর কিতাবের একটি বাণী তার মহীয়ান বাণী বলছে আল্লাহর পৃথিবী কী সুবিশাল নয় অতএব সেখানে তোমরা পরিভ্রমণ করে বেড়াও আরেকজন সমসাময়িক অপরিচিত ব্যক্তি ছিলেন আব্দুল আযীয বিন সুলাইমান আবু আল রাশিবি। আর যারা তাঁর বাড়িতে আসতেন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে তারা হলেন আলী বিন আব্দুল আজিজ। এবং তিনি ছিলেন একজন শিয়া সম্প্রদায় ভুক্ত সুফি মালিক বিন দিনার কেউ একাধিক গল্পের সঙ্গে জড়ানো হয়েছে মালিক ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ তাপস এবং অন্যতম যেহেতু ৭৪৫ খ্রিস্টাব্দে মারা যান। সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে থাকলে তার যৌবন কালে প্রধানত পুরুষরাই ছিলেন রাবেয়া শিষ্য এবং বন্ধু এবং নারীদের সঙ্গে ততার সঙ্গে নিজের মধ্যে যাঁরা ছিলেন তাঁরা আত্মীয় বর্গের অন্তর্ভুক্ত আমরা লায়লা আলসিয়ার নাম নাম শুনি।  এরাবিয়ান নাম উম্মুল দার দার দার দার নামের সঙ্গে যুক্ত করা হয় কিন্তু তিনি ছিলেন রাবেয়া  থেকে বয়সে অনেক বড়। আমরা দুজন পরিচারিকা নামে পাই যারা নিজেরাও ছিলেন সাদিকা এবং পুণ্যবতী নারী এদের মধ্যে একজন হলেন বস্তার সাধিকা তাপসিনী মরিয়ম, যিনি রাজাকে খুবই ভালবাসতেন এবং তার একজন সেবিকা হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি রাবেয়ার পরেও কিছুকাল বেঁচে ছিলেন তিনি প্রেমের উপর আলোচনা এবং তাতে অংশগ্রহণ করতেন। আর তার ফলে তার উপর এমন প্রভাব পড়তে যেয়ে তিনি মাঝে মাঝে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলবে একবার তিনি মজলিসে হাজির ছিলেন যখন তারা প্রেমে সম্বন্ধে আলোচনা করছিলেন তার উপর এর প্রভাব বেশি পড়েছিল।যে তিনি সেই সভাতেই প্রাণ ত্যাগ করেন। এগুলোর মধ্যে একটি হলো যেদিন থেকে আল্লাহর কিতাবের মানে আমি শুনেছি তোমাদের জীবিকা এবং যা কিছু তোমাদেরকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে আকাশে রয়েছে যেদিন থেকে আমি আমার দৈনন্দিন জীবিকা নিয়ে আর ভাবি নি এবং তার অন্বেষণের। নিজেকে পরিস্রান্ত করিনি। উপরোক্ত কাহিনীগুলি একথা স্পষ্ট করে দেয় যে। রাবেয়া তার যুগের অগ্রগণ্য সুফিদের সঙ্গে সমকক্ষ ভাবে মেলামেশা করেছে এবং তার জীবনী কারণ গান পুরুষদের প্রাকৃতিক অত সুস্থতার বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও রাবেয়াকে তার সমসাময়িক সুফি ব্যক্তিদের সঙ্গে আসুন। এমনকি শ্রেষ্ঠত্বের আসন দিতেও প্রস্তুত এইসব শহীদের মধ্যে পড়েন। এমন এমন ব্যক্তি যাদেরকে চিন্তাজগতের দিকপাল এবং সুফী মতবাদের পরম শ্রদ্ধেয় গুরু বলে গণ্য করা হয়



পরবর্তী অর্ধায়  হযরত রাবেয়া বসরী (রহ:) এর কৃচ্ছসাধনা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ