আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

৩৪ তম অধ্যায় বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জীলানি (র:) একই সময়ে ৭০(সত্তুর) বাড়িতে ইফতার করলেন


লেখক:মো: রবিউল ইসলাম
                    ৩৪ তম অধ্যায়
বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জীলানি (র:) একই সময়ে  ৭০ ( সত্তুর)  বাড়িতে ইফতার করলেন

হান আল্লাহ পাকের অশেষ কুদরতে তিনি তার প্রিয় বান্দাদের অশেষ ক্ষমতা প্রদান করিয়া থাকেন হযরত বড়পীর এর ক্ষমতা তিনি শ্রেষ্ঠ পাহাড় হৃদয়-মন সকলেই আল্লাহর হইয়া গিয়াছিল। তিনি স্রষ্টা ও সৃষ্টির রহস্য লোকে সর্বদা ভ্রমণ করিতেন তাই পাহাড় কারামতের অন্ত ছিল না আল্লাহপাক তাহার উপর এত খুশি ছিলেন যে তিনি যা ইচ্ছা তাই আল্লাহ পাকের নিকট হইতে আদায় কোরিয়া লইতেন ইহাই তো মহব্বত আশেক মাশুকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সেতুবন্ধন। হযরত শেখ আব্দুল কাদের শামীম রহমাতুল্লাহ। তাহার পুনিত কিভাবে হযরত বড় পীরের অলৌকিক ঘটনা বর্ণনা করিয়াছেন জানা যায় যে গাউসুল আজম মাহবুবের রব্বানী হযরত আব্দুল কাদের জিলানী একদা একই সময় ৭০ জায়গায় ইফতার করিয়াছিলেন।

একবার এক রমজান মাসে হযরত বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী কে তার ভক্তরা ইফতার দাওয়াত করিলেন। সারাদিন হযরত বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী দাওয়াত কবুল করলেন। যদিও দেখা যাইতেছিল যে একই দিন একাধিক বাড়িতে তাহার দাওয়াত হইতেছে। একজন লোকের পক্ষে একই দিন একাধিক বাড়িতে ইফতার করা সম্ভব নহে। কিন্তু বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী(র:) কাহাকেউ ফিরাইয়া দিলেন না, তিনি প্রত্যেক দাওয়াতকারীর দাওয়াত গ্রহণ করিলেন। এভাবে একেক করে ৭০ বাড়ির ইফতারের দাওয়াত পাইলেন।
সেদিন হযরত বড়পীর (র:) তার নিজ গৃহে ইফতারের সকল উপস্থিত শিষ্যদের নিয়ে ইফতারি করিলেন। অন্যদিকে যাহারা তাহাকে দাওয়াত করিয়াছিলেন তিনি তাদের সঙ্গেও ইফতার করিয়াছিলেন। পরেরদিন হযরত বড়পীর  আব্দুল কাদের জিলানী (র:) নিমন্ত্রিত সকলের বাড়িতে গিয়ে ইফতার করেন, তাও আবার একই সময়ে। যাদের বাড়িতে গিয়ে ইফতার করে আসছিলেন সে ভাবছিল হয়তো বড়পীর আমার বাড়িতে ইফতার করেছে। এভাবে যারা যারা হযরত বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (র:)- কে নিমন্ত্রণ করেছিল। সকলের মনে একই বাক্য যে বড়পীর (র:) আমার বাড়িতে ইফতার কারেছেন। একে অন্যকে এই খুশি সংবাদগুলো বলতে লাগলো তারা প্রত্যেকে দাবি করলো হুজুর আমার বাড়িতে ইফতার করিয়াছেন। কিন্তু ইহা কিভাবে হবে একজন মানুষ তো একই সাথে ৭০ বাড়িতে ইফতার করতে পারেনা। তাও আবার একই সময়ে। এবিষয় নিয়ে সকলের মধ্যে কথোপকথন হচ্ছিল। তখন একজন লোক বলে উঠল হয়তো এটা বড় পীরের একটা কারামত হইবে কারণ সে কথা দিয়েছিল আমাদের ইফতার করবে। বড়পীরের বাড়িতে একজন লোক আসছিল ইফতার করতে, কিন্তু এ বিষয়ে যখন সে জানতে পারল তখন সে কিছুতেই মানতে পারছিল না যে সে একই সময় আরো ৭০ বাড়িতে ইফতার করেছেন। তার মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন থেকেই গেল যে আমার সামনে বসে বড়পীর ইফতার করলেন,এটা কিভাবে সম্ভব অন্যের বাড়িতে অন্যের বারিতে একই সময়ে ইফতার করতে পারা।
কয়েকদিন পর একদা বড়পীর (র:) লোকটির সঙ্গে সন্ধ্যাকালে নগরের একদিকে ভ্রমণে বাহির হইলেন। কিছুদুর গিয়ে কিছুটা নির্জন স্থানে একটা বৃক্ষের তলায় বসিলেন। অতঃপর বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী(র:) তাসবিহ পাঠ করিতে করিতে লোকটিকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন আমি একই সময়ে ৭০ বাড়িতে ইফতার করিয়াছি তুমি বিশ্বাস করতেছ না কেন...?
 লোকটি বলিল:  হুজুর আমি অবিশ্বাস করি নাই তবে ভাবিয়া দেখিলাম ইহা কিভাবে সম্ভব, কিন্তু কোন সূত্র খুঁজিয়া পাইলাম না। আপনি তো আমার মতই এক দেহের একজন মানুষ। আমার সঙ্গে লইয়া আপনাকে ইফতার করতে দেখলাম। আপনার দেহ লইয়া আরো ৭০ জায়গায় ইফতার করিয়াছেন কিভাবে সম্ভব হতে পারে তাই আমাকে এ বিষয় ভাবনায় ফেলিয়াছে মাত্র।
হযরত বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী তখন লোকটাকে বললেন তুমি এখন উপরের দিকে তাকাইয়া দেখো।
লোকটি উপরের দিকে তাকাইয়া দেখিল বৃক্ষটির শাখা- প্রশাখা এমনকি পাতায় পাতায় শত সহস্রজন বড়পীর (র:) বসিয়া তাসবিহ পাঠ করিতেছেন।  আবার নিচের দিকে তাকাইয়া দেখলেন বড়পীর (র:)  তাসবিহ পাঠ করিতেছেন। এভাবে তিনি উপর নিচে উপর নিচে বারবার তাকিয়ে দেখতে লাগলেন যে বড়পীর(র:) জমিনেও বসে তাসবিহ পাঠ করছেন। আবার বৃক্ষের প্রতিটি পাতায় পাতায় বসে তসবিহ পাঠ করছেন। এইরূপ দেখিয়া সে অবাক হইয়া গেল। তখন সে বুঝতে পারল ইহাই তো বড়পীর (র:) -এর কারামত আর এইরূপ শক্তির মাধ্যমেই সেদিন তিনি ৭০ জায়গায় একই সময়ে ইফতার করিয়াছিল। এবং বলতে লাগল ৭০ কেন ১০০০(এক হাজার) বাড়িতে হলেও তিনি একই সময় ইফতার করতে পারতেন। নিজের ভুল ধারণা দূর হইয়া গেল লজ্জায় আর কিছু জিজ্ঞাসা করিতে পারিল না মাথা নত করিয়া বলিল হুজুর আমাকে ক্ষমা করেদিন আমি এখন সবকিছু বুঝিতে পারিয়াছি।

              পরবর্তী অধ্যায় 
বাগদাদের খলিফা কে কারামত প্রদর্শন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ