আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

৪০ তম অর্ধায় নারী কে পুরুষে রুপান্তর করলেন বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জীলানি (র:)

লেখকঃ মোঃ রবিউল ইসলাম
               ৪০ তম  অর্ধায় 
নারী কে পুরুষে রুপান্তর করলেন বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জীলানি (র:) 


বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র:)-এর সারাজীবনই কারামতে পরিপূর্ণ। তিনি কারামতের শ্রেষ্ঠ অলি - আল্লাহ তার কারামতের শেষ নাই। শত শত ঘটনা তাহার দ্বারা সংঘটিত হইয়াছে মহান আল্লাহ পাকের ইশারায়। আর এইসব কারামতের মধ্যে রহিয়াছে আল্লাহর প্রেমের নিদর্শন, যাহা দেখিয়া পথভ্রষ্টদের দল সৎপথ লাভ করিতে পারে। সত্য ধর্ম ইসলামে নিজেদের দাখিল করিয়া ইহকাল ও পরকালের মুক্তি লাভে সমর্থ হয়।
রিসালাতে আউলিয়া কিতাবে লিখিত আছে বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র:)- একবার বাগদাদ নগরীর জৈনকা মহিলার কুড়ি (২০)  জন কন্যাসন্তানকে পুরুষ সন্তানে রূপান্তরিত করিয়াছিলেন। জানা যায় জনৈক মহিলার গর্ভে একের পর এক করিয়া কুড়ি (২০)  জন সন্তান জন্মলাভ করিল কিন্তু তারা সকলেই হইল কন্যা সন্তান। তার একটিও পুত্রসন্তান জন্ম লাভ হইল না, এরূপ অবস্থায় উক্ত মহিলার বয়সও অধিক হইয়া গিয়াছে,আর কতকাল থাকবে পুত্র সন্তানের আশায়, এরকম আশা ছাড়িয়া দিয়া নিরাশায় তাহার দিন কাটিতে লাগিল। ইতোমধ্যে তাহার স্বামী পর পর এতগুলো কন্যাসন্তানের জন্মদাত্রী মহিলার উপর অসন্তোষ হইয়া উঠিল । সে একদা তাহার স্ত্রীকে জানাইয়া দেন যে তাহাকে ত্যাগ করিয়া অন্য স্ত্রীকে বিবাহ করিবে।তাহার পুত্রসন্তান চাই।তাই গৃহকর্তা স্ত্রী ও কন্যাদের  উপর এমন অসন্তুষ্ট হইয়াছিল যে বিবাহযোগ্য কন্যাদের বিবাহ দেবার জন্য কোনো চেষ্টা করিল না।
জৈনক মহিলা ভাবিতে লাগিলেন যে তাহার কপালে যা ছিল তাই হইয়াছে। আল্লাহপাক ইচ্ছা করিলে তাহাকে পুত্রসন্তান দান করিতে পারিতেন। স্বামি তা কেন বুঝতেছেন না। যে আল্লাহ পাকের ইচ্ছার বাহিরে তাহার কিছুই করিবার নাই, এখন স্বামী তাকে পরিত্যাগ করিয়া নতুন বধু ঘরে আনিবে, আল্লাহর ইচ্ছায় যদি তার গর্ভে কোন সন্তান না হয় তাহলে সে কি করিতে পারিবে....? মহিলা স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কি আর বলবে.তাহার তো স্বামী  দ্রোহী হইবার  অধিকার নাই,অতঃপর শক্তি ও নাই নানা ভাবনা ভাবিতে ভাবিতে একদা উক্ত মহিলা বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র:)-এর নিকট হাজির হইয়া তাহার সমুদয় দুঃখের কাহিনী বর্ণনা করিয়া আরজ করিল : হুজুর আমার স্বামী দ্বিতীয়বার বিবাহ করিলে আমার খুবই কষ্ট হইবে, আপনি আমাকে দোয়া করিয়া দিন যেন মহান আল্লাহপাক আমাকে একটি পুত্র সন্তান দান করেন। আমার গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্মিলে নিশ্চয়ই স্বামীপ্রবর আমাকে আর পরিত্যাগ করিতে পারিবে না ও আমার মনেও কোন কষ্ট থাকবে না।বাকি জীবনটা স্বামীর সেবাযত্ন করিয়া কাটাইয়া দিতে পারিব। আপনি অভাগিনীর জন্য আল্লাহ পাকের দরবারে মোনাজাত করুন।বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র:)-মহিলার করুন আবেদন শুনিয়া এবং তার সংসারের দুঃখ-দুর্দশার বিবরণ জানিতে পারিয়া তিনি মর্মবেদনা অনুভব করিলেন। তিনি মহিলাকে বলিলেন তুমি কোন চিন্তা করিও না গৃহে ফিরিয়া যাও আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় তুমি পুত্র সন্তান লাভ করিবে। 
উক্ত মহিলা বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র:)-এর এই রূপ কথায় বিশ্বাস আনিতে পারিতেছিল না। মহিলা ভাবিতে লাগলেন হুজুর তো তাহার জন্য কোন দোয়া করিলো না,তাহাকে তো কোন ঝাড়ফুঁক দিলেন না, তাবিজ তদবির কিছুই করলো না, তাহা হইলে কিভাবে তাহার পুত্র সন্তান লাভ হইবে হুজুর তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্যই এরূপ বলিয়াছেন।বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র:)- মহিলার অন্তরের ভাবনা বুঝিতে পারিলেন তিনি মহিলাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন হে অভাগিনী,পুত্র সন্তানের জন্য কাঙ্গালিনী তুমি অযথা কি সব ভাবিতেছ কি লাভ হইবে তুমি ঘরে ফিরে যাও দেখো তোমার কুড়ি (২০)  কন্যা সন্তান পুত্র সন্তানে রূপান্তরিত হইয়া গিয়াছে। 
মহিলা বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র:)- এর জবানিতে এই কথা শুনিয়া লজ্জিত হইল এবং তখনই স্ত্রীলোকটি  নিজ গৃহে ফিরিয়া আসিল। সে গৃহে ফিরিয়া দেখিতে পাইল তাহার  মেয়েরা গৃহে নাই যাহাদের দেখিতেছে তাহারা সকলই পুরুষ সন্তান। সন্তানেরা মাতাকে দেখিয়া মা মা বলিয়া ছুটিয়া আসিল। অতঃপর মহিলার স্বামী গৃহে ফিরিলে তাহার কাছে এবং কুড়ি (২০)  জন পুত্রের নিকট বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র:)- এর কথা সবিস্তারে বর্ণনা করলো। গৃহে সকলে তাহা শ্রবণ করিয়া তাজ্জব হইয়া গেল। অতঃপর মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে শুকরিয়া করিয়া বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র:)- এর প্রশংসা করলো। ইহার পর তারা আল্লাহ তায়ালার উপাসনা এবং শীয় কাজকর্মে মনোযোগ দিয়া সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল।

পরবর্তী অধ্যায় অন্তিম শয্যায় বড়পীর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ