লেখক: মো:রবিউল ইসলাম
এই রকম শুভ ভাগ্যলক্ষণ সত্বেও, শায়ক আত্তার বর্ণনা করেছেন যে- রাবেয়ার পরিবারের উপর না না দৈবদুর্বিপাক নেমে আসে। রাবিয়া যখন একটু বড় হলেন তখন তার পিতা মাতা মারা যান এবং তিনি অনাথ হয়ে পড়েন। বসরাতে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় ভগ্নিগণ পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। একদিন রাবেয়া যখন বাইরে বেড়াচ্ছিল তখন একজন লোক তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে ৬ দিরহাম মূল্য দিয়ে ক্রীতদাস রূপে বিক্রি করে দেয়।যে লোকটি তাকে কিনেছিলেন সে তাকে দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করিয়ে নিত।একদিন একজন অপরিচিত লোক যাকে দেখা তার বৈধ ছিল না তার দিকে এগিয়ে আসে এবং রাবেয়া তার হাত থেকে দৌড়ে পালাতে গিয়ে রাস্তায় পা পিছলে পড়ে জান ও তার কব্জির হাড় নড়ে যায়। তিনি যখন ধুলায় মাথা লুটিয়ে লুটিয়ে বলেন হে প্রভু আমি একজন পরদেশী মাতৃ পিতৃহীন অনাথ ক্রীতদাসী, পরাধীনা এবং আমার কব্জিটিও আহত কিন্তু তবুও আমি দুঃখিত নই। আমি শুধু চাই আপনাকে তুষ্ট করতে। আমার বাসনা জাগছে একথা জানার জন্য যে আপনি আমার উপর সন্তুষ্ট কিনা। তিনি শুনতে পেলেন কেউ যেন তাকে বলছে তুমি দুঃখ করো না কারণ- পুনরুত্থানের দিনে তোমার পদমর্যাদা হবে এমন ওই যে যারা স্বর্গে আল্লাহর ঘনিষ্ঠতম হবে তারাও তোমাকে দেখে ঈর্ষা করবেন।
এ ঘটনার পর রাবেয়া তার মনিবের ঘরে ফিরে যান। তিনি তার নির্ধারিত কাজ-কর্ম গুলি করতে থাকেন এবং সারাদিন উপবাস এ থাকেন। এবং সারাদিন উপবাসে থাকেন।এবং সারারাত্রি প্রভাত না হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আল্লাহর আরাধনায় মশগুল থাকেন। একদিন রাতে তার মনিবের ঘুম ভেঙে গেল এবং তিনি তার বাড়ির একটি জানালার দিকে যাইতেই রাবেয়া কে দেখতে পেলেন। তার মাথা ছিল আরাধনা প্রনত। এবং তিনি বলছিলেন- হে আমার প্রভু আপনি জানেন আমার মনের বাসনা হচ্ছে আপনার অনুগত করা। এবং আপনার দরবারে সেবাই আমার চোখের জ্যোতি। যদি ব্যাপারটি আমার হাতে থাকতো তাহলে আমি একটি ঘন্টাও আপনার সেবা থেকে বিরত থাকতাম না। কিন্তু আপনি আমাকে একজনের সৃষ্টযীবের অধীন করে রেখেছেন। তার এইভাবে প্রার্থনা করা তখনও শেষ হয়নি যখন রাবেয়ার মনিব দেখতে পেলেন যে তার মাথার উপর কোন শিকল ছাড়াই একটি বাতি ঝুলন্ত হয়ে জ্বলছে যার আলোয় ঘর আলোকিত হয়ে উঠেছে। মুসলিম ওলিদেরকে আবৃতকারী এই আলোক প্রভার কথা সুফিগণের জীবনচরিতে উল্লেখ্য পাওয়া যায়।
২য় অর্ধায় রাবেয়া বসরীর বাল্যকাল ও দাসত্ব জীবন
এই রকম শুভ ভাগ্যলক্ষণ সত্বেও, শায়ক আত্তার বর্ণনা করেছেন যে- রাবেয়ার পরিবারের উপর না না দৈবদুর্বিপাক নেমে আসে। রাবিয়া যখন একটু বড় হলেন তখন তার পিতা মাতা মারা যান এবং তিনি অনাথ হয়ে পড়েন। বসরাতে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় ভগ্নিগণ পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। একদিন রাবেয়া যখন বাইরে বেড়াচ্ছিল তখন একজন লোক তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে ৬ দিরহাম মূল্য দিয়ে ক্রীতদাস রূপে বিক্রি করে দেয়।যে লোকটি তাকে কিনেছিলেন সে তাকে দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করিয়ে নিত।একদিন একজন অপরিচিত লোক যাকে দেখা তার বৈধ ছিল না তার দিকে এগিয়ে আসে এবং রাবেয়া তার হাত থেকে দৌড়ে পালাতে গিয়ে রাস্তায় পা পিছলে পড়ে জান ও তার কব্জির হাড় নড়ে যায়। তিনি যখন ধুলায় মাথা লুটিয়ে লুটিয়ে বলেন হে প্রভু আমি একজন পরদেশী মাতৃ পিতৃহীন অনাথ ক্রীতদাসী, পরাধীনা এবং আমার কব্জিটিও আহত কিন্তু তবুও আমি দুঃখিত নই। আমি শুধু চাই আপনাকে তুষ্ট করতে। আমার বাসনা জাগছে একথা জানার জন্য যে আপনি আমার উপর সন্তুষ্ট কিনা। তিনি শুনতে পেলেন কেউ যেন তাকে বলছে তুমি দুঃখ করো না কারণ- পুনরুত্থানের দিনে তোমার পদমর্যাদা হবে এমন ওই যে যারা স্বর্গে আল্লাহর ঘনিষ্ঠতম হবে তারাও তোমাকে দেখে ঈর্ষা করবেন।
এ ঘটনার পর রাবেয়া তার মনিবের ঘরে ফিরে যান। তিনি তার নির্ধারিত কাজ-কর্ম গুলি করতে থাকেন এবং সারাদিন উপবাস এ থাকেন। এবং সারাদিন উপবাসে থাকেন।এবং সারারাত্রি প্রভাত না হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আল্লাহর আরাধনায় মশগুল থাকেন। একদিন রাতে তার মনিবের ঘুম ভেঙে গেল এবং তিনি তার বাড়ির একটি জানালার দিকে যাইতেই রাবেয়া কে দেখতে পেলেন। তার মাথা ছিল আরাধনা প্রনত। এবং তিনি বলছিলেন- হে আমার প্রভু আপনি জানেন আমার মনের বাসনা হচ্ছে আপনার অনুগত করা। এবং আপনার দরবারে সেবাই আমার চোখের জ্যোতি। যদি ব্যাপারটি আমার হাতে থাকতো তাহলে আমি একটি ঘন্টাও আপনার সেবা থেকে বিরত থাকতাম না। কিন্তু আপনি আমাকে একজনের সৃষ্টযীবের অধীন করে রেখেছেন। তার এইভাবে প্রার্থনা করা তখনও শেষ হয়নি যখন রাবেয়ার মনিব দেখতে পেলেন যে তার মাথার উপর কোন শিকল ছাড়াই একটি বাতি ঝুলন্ত হয়ে জ্বলছে যার আলোয় ঘর আলোকিত হয়ে উঠেছে। মুসলিম ওলিদেরকে আবৃতকারী এই আলোক প্রভার কথা সুফিগণের জীবনচরিতে উল্লেখ্য পাওয়া যায়।
0 মন্তব্যসমূহ