আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

৫ম অর্থায় হযরত রাবেয়া বসরীর বিবাহের প্রস্তাব

লেখক: মো: রবিউল ইসলাম 

৫ম অর্থায় হযরত রাবেয়া বসরীর বিবাহের প্রস্তাব

হযরত রাবেয়া বসরীর নিকট অনেকগুলি বিবাহের প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু তিনি তার সবগুলোকেই নাকচ করে দেন। এই কথা ভেবে যে একমাত্র কুমারী জীবন যাপনের ধারায় তিনি তার লক্ষ্যের দিকে অবিচলভাবে এগিয়ে যেতে পারবেন। যারা তার পাণিপ্রার্থী (বিবাহ করতে উৎসুক)  হয়েছিলেন তাদের মধ্যে একজন হলেন আব্দুল আল ওয়াহিদ বিন জায়েদ। যিনি তাঁর সংসারবিরাগ ও পবিত্র জীবন জাপানের জন্য শহীদ হয়েছিলেন। তিনি একজন শাস্ত্রবিদ ধর্মপ্রচারক এবং আল্লাহর পথের পথিকদের জন্য নির্জনবাস অবলম্বনে প্রবক্তা ছিলেন। তিনি ছিলেন নিম্নবর্ণিত কাব্যপঙক্তির প্রসিদ্ধ রচয়িতা।
পথ রয়েছে অনেক কিন্তু সত্যের দিকে পথ একটি যারা সত্য পথের পথিক তাদেরকে অবশ্যই নির্জনবাস অবলম্বন করতে হবে।
তিনি বসরার নিকটস্থ সর্বপ্রথম তাপস সং গুলির মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠাতা তিনি মারা যান ৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে। রাবেয়া তার বিবাহ প্রস্তাব কে  নাখচ জানান অত্যন্ত ঘৃণাভরে থাকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, হে কামুক তুমি তোমার মত আরেকজন কাউকে খুজে নাও তুমি কি আমার মধ্যে কামনার কোন চিন্হ দেখেছো।
আর একজন পাণিপ্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান আল হাশিমি তিনি ১৪৫ হিজরী সন থেকে বসরার একজন আব্বাসীয় আমির ছিলেন এবং তিনি ১৭২ হিজরী সনে মারা যান তিনি ১লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা জ্যোতি কিভাবে দিতে চেয়ে রাবেয়া কে লিখেছিলেন যে তার মাসিক আর ১০,০০০স্বর্ণমুদ্রা দেয়া হবে রাবেয়াকে। কিন্তু রাবেয়া তাকে চিঠির উত্তরে লিখেছিলেন,এটা আমার মোটেই মনঃপুত নয় যে আপনি আমার পাশে থাকুন এবং আপনার সর্বোস্ব আমার হয়ে যাক।অথবা এত আমি চাইনা যে আপনি আমাকে একটি মুহূর্তের জন্য আল্লাহ থেকে বিরত রাখুন।এই ঘটনার উপর এক বর্ণনায় রয়েছে যে ঐ আমির বসরার লোকদেরকে পত্র লিখে অনুরোধ করেন তার জন্য একটি পাত্রী দেখে দিতে। এবং তারা রাবেয়াকে মনোনয়ন করে। আমির তখন তার ইচ্ছা জানিয়ে রাবেয়াকে পত্র লেখেন, যার জবাবে রাবেয়া লিখেছিলেন:- সংসার পরিত্যাগ করার মধ্যেই শান্তি এবং এর কামনাযই দুঃখের মূল। আপনি আপনার বাসনা রাজিকে সংযত করুন এবং নিজের উপর নিজের প্রবল থাকুন। অন্যদেরকে আপনার উপর কর্তৃত্ব করতে দেবেন না বরং তাদেরকে আপনার উত্তরাধিকার লব্ধ ধন ও যুগের আশঙ্কা উদ্বেগের ভাগীদার হতে দিন। আপনার কাজ হবে আপনার মৃত্যুদিন সম্বন্ধে চিন্তা করা।আমার ব্যাপার একটু শুনে রাখুন যে আপনি আমাকে যা কিছু দিতে চেয়েছেন আল্লাহ সবই দিতে পারেন এমনকি দ্বিগুনও। তার থেকে একটি মুহূর্তও বিরত থাকা আমার পছন্দ নয় অতএব বিদায়।

পরবর্তী অধ্যায় কুমারী জীবন গ্রহণ.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ