আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

৭প্তম অর্ধায় মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় কারমতি

লেখক :- মো: রবিউল ইসলাম


৭প্তম অর্ধায় মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় কারমতি  


জিলান জনপদে হযরত সাইয়্যেদ আবু সালেহ জঙ্গী মূসা (রহঃ) তাহার প্রিয়তমা সতি সাধবি স্ত্রী সাইয়্যেদ উম্মে খায়ের ফাতেমাকে লইয়া জীবন যাপন করিতে লাগিলেন তাহাদের ক্ষুদ্র সংসারে সদা সর্বদা শান্তি বিরাজমান। হযরত আবূ সালেহ জঙ্গী মূসা (রহঃ) পশুপালন এবং কৃষিকাজ করতেন।
তিনি সদা সর্বদা আল্লাহর ইবাদত বন্দেগিতা  নিয়োজিত থাকতেন।সাইয়্যেদ উম্মে খায়ের ফাতেমা সংসারের কাজের পাশাপাশি আল্লাহর ইবাদত বন্দেগিতে নিজেকে ব্যাস্ত রাখতেন।
এভাবে দেখিতে দেখিতে বছরের পর বছর পার হইয়া গেল। কিন্তু তাদের কোন সন্তানাদি জন্মিল না  মহান আল্লাহর দরবারে তাহারা কোন অভিযোগ ও করলো না।কারন আল্লাহর প্রতি তাদের ছিল অটল বিশ্বাস। হযরত আবূ সালেহ জঙ্গী মূসা (রহঃ)  এর যৌবন  অতিক্রম করিয়া বৃদ্ধ বয়স আসিল। সাইয়্যেদা উম্মে খায়ের ফাতেমা (রহঃ) এর বয়স পঞ্চাশ  অতিক্রম করিয়া ষাট বছরের কাছে পৌছাইলো।ইহার চেয়ে বৃদ্ধ হইলেন হযরত আবূ সালেহ জঙ্গী মূসা (রহঃ) ।
বয়স জাই হোক না কেন আল্লাহ চাইলে সবই করতে পারেন হয়তো এইটাও আল্লাহর তরফ হতে একটা পরিক্ষা ছিল যে আমার উম্মত আমার প্রতি আস্থা হারায় কি না।
আল্লাহর রহমতে ষাট বৎসরের বৃদ্ধা হযরত সাইয়্যেদা উম্মে খায়ের ফাতেমা গর্ভবতী হইলেন। অসময়ে গর্ভবতী হয়েও তিনি আল্লাহর নিকট শোকর গুজারী করতে লাগলেন।তাহার  হ্নদয়ে মাতৃত্বের আনন্দ স্রোত বহিয়া গেল।স্বামী হযরত আবূ সালেহ জঙ্গী মূসা (রহঃ)  তিনিও বৃদ্ধ বয়সে বাবা হতে পারার খুশিতে আল্লাহর নিকট শোকর গুজারী করতে লাগলেন।
আল্লাহর অসীম কুদরতে মুগ্ধ হইয়া অবগাহন করিলেন। নব আনন্দের আসায় স্বামী -স্ত্রীর নতুন জীবনের শুরু হইল।

দিনে দিনে মাতৃগর্ভে বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী(রহঃ) বারিতে লাগিলেন।
সাইয়্যেদ উম্মে খায়ের ফাতিমা (রহঃ)
গর্ভ সঞ্চারের প্রথম মাসে একদা স্বপ্নে দেখিলেন মানব জাতীর আদি মাতা হযরত হাওয়া (আঃ) তাহার সম্মুখে হাজির হইয়া সহাস্যে বলিতেছেন - হে ফাতেমা তুমি বিশ্বজগতের ভাগ্যবতী রমনী তোমার গর্ভে যেই সন্তান আসিতেছেন সেই সন্তান আউলিয়া কুলের সর্দার হইবে। তুমি সদা সর্বদা সতর্ক থাকিও।

দ্বীতিও মাসে কোন একদিন ফাতেমা (রহঃ) আবার স্বপ্ন দেখিলেন হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর পত্নী বিবি হাজেরা (আঃ)  তাহার শিয়রে দারাইয়া মধূর কন্ঠে বলিলেন:- হে ফাতেমা আল্লাহ পাকের কুদরতে তোমার গর্ভে মারেফাত তত্বেও শ্রেষ্ঠ অলী আল্লাহ স্থান লাভ করিয়াছে তুমি সদা সর্বদা আল্লাহর গুনগানে মশগুল থাকিও।

তিনি তৃতীয় মাসে আবার  স্বপ্নে দেখিলেন যে ফেরাউন এর স্ত্রী সতি সাধ্বী মহিয়সী হযরত আছিয়া (আঃ)  তাহাকে বলিতেছেন হে পূর্ণবতী ফাতিমা তোমার গর্ভে দুনিয়ার অদ্বিতীয় অলী-আল্লাহর আবির্ভাব হইয়াছে। অতয়েব তুমি অতি সাবধানে থাকিও।

গর্ভের চতুর্থ মাসে তিনি স্বপ্নে দেখিলেন হযরত বিবি মরিয়ম (আঃ)  যিনি ছিলেন হযরত ঈসা (আঃ) এর কুমারী মাতা  তিনি বলিলেন তোমার গর্ভের সন্তান দিনে দিনে বড় হইতেছে তিনিতো বিশ্ববরেন্য আউলিয়ায়ে আজম হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) অতয়েব তুমি অতি সাবধানে চলাফিরা করিও।

পঞ্চম মাসে উম্মে খায়ের ফাতেমা (রহঃ) স্বপ্নে দেখিলেন মহানবি হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর প্রধান  মিহিষী জান্নাত বাসিনী খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) তাহাকে বলিলেন তোমার গর্ভে দ্বীন ইসলামের এক উজ্জ্বল মানিক আল্লাহর প্রিয় বান্দা মহিউদ্দিন এর আবির্ভাব হইয়াছে। তোমাকে অতি সাবধানে থাকতে হবে।

এইভাবে প্রতি মাসে তিনি সুসংবাদ পাইতে লাগিলেন
ষষ্ঠ মাসে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রহঃ)
সপ্তম মাসে ইমাম হাসান ও হোসাইন (রাঃ) এর মাতা জান্নাত রমনীকুলের সর্দার মহানবি (সাঃ) এর প্রিয় কন্যা বিবি ফাতেমা (রাঃ)।

অষ্টম ও নবম মাসে ইমাম হাসান এবং ইমাম হোসাইন (রহঃ) এর পুর্নবতি নারী জয়নব। হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর আবির্ভাব সম্পর্কে সুসংবাদ এবং সতর্কতা অবলম্বন করিতে বলিলেন।


             পরবর্তি অর্ধায় :-
মাতৃগর্ভে থাকিতে আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর আশ্চর্য কারামত  পরতে   একানে ক্লিক করূন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ