আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

8 ষ্টম অর্ধায় হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ:) এর দুনিয়ায় আগমন


লেখক :  মো: রবিউল ইসলাম

বিষয়:--হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ:) এর দুনিয়ায় আগমন

* দেখিতে দেখিতে সাইয়্যেদা উম্মে খায়ের  ফাতেমা (রহ:) গর্ভধারণের বয়স দশ মাস হয়ে গেল। তাহার মনে আনন্দের বন্যা বইয়া যাইতে লাগিল। শুভক্ষণের আর বাকি নেই মাতৃগর্ভে শিশুর নড়াচড়া তাকে বুঝাইয়া দিতেছে যে অচিরেই সে দুনিয়ার  আলো-বাতাস দর্শন করবে। অতি সাবধানে ফাতেমার (রহ:) চলাফেরা করতে লাগিলেন। সন্তমানের মধুচন্দ্রিমা দেখিবার বাসনায় তাহার অন্তরে ভাসিয়া বেড়াইতে লাগিল। মহান আল্লাহ পাকের হুকুম এ সময় আসিয়া গেল। 471  হিজরিতে মাহে শাবানের 29 তারিখ জিলান নগরে লোকেরা সন্ধ্যা হতেই পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখার জন্য মাঠে ময়দানে জমায়েত হতে লাগলেন। কিন্তু আকাশ মেঘ জমিল। সূর্য অস্তাবলে চলে গেল কারো পক্ষে মেঘযুক্ত আকাশে চাঁদ দেখা গেছে কিনা তা অবলোকন করা সম্ভব হলো না। রজনী নামিল ধীরে ধীরে রাত্রি বাড়িয়া চলিলআকাশে বিদ্যুৎ চমকায়তে লাগিল.
দেখিতে দেখিতে প্রবল ঝড় বৃষ্টি শুরু হইয়া গেল। জিলানের অধিবাসীরা ভয়ে ভীত হয়ে গেল  ঝড়-তুফান হইতে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাত কড়িতে লাগিল। কিন্তু সহসা ঝড় থামল না বরং ঝড়ের প্রকোপ বাড়িয়া গেল।শিলাপাত আরম্ভ হইল। ঘরে ঘরে আল্লাহর প্রশংসা বাড়িতে লাগিল।কাতর কন্ঠে  সকলেই ঝড়-বৃষ্টির কবল হইতে বাচিবার জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করিতে লাগিল। রাত্রি তিনপ্রহর অতিক্রম করিয়া গেল। আর শুভহসাদেক এর  বাকি নাই।  ঠিক এমন সময় পূর্ণবতি উম্মে খায়ের  ফাতেমা(রহ:) এর প্রসব বেদনা উপস্থিত হইল।তিনি প্রসব বেদনায় কাতর হইয়া পড়িয়াছিলেন। বাহিরে এত পরিমানে ঝড় হচ্ছিল যে আবু সালেহ মুসা কোন মহিলাকে ডাকতে যেতে পারছিলোনা।প্রসব বেদনায় যখন ফাতেমা অস্থির হইয়া পড়িলেন তখন।আল্লাহর হুকুমে  কয়েকজন মহিলা তাঁহার গৃহে প্রবেশ করিলেন তাহারা সাধক আবু সালেহ মুসা কে  জানালেন যে তারা  ফাতেমা এর সাহায্যে জন্যই আসিয়াছেন। ইহাতে তিনি অনেকটা শান্তি বোধ করিলেন অধীর আগ্রহে সুসংবাদের  অপেক্ষায় বসিয়া রহিলেন। পূর্ব আকাশ ফরসা হইয়া উঠিল ফজরের আযানের সময় হয়েছে এমন সময় উম্মে খায়ের  ফাতেমা এর কঠিন প্রসব বেদনায় যবানিকা হযরত বড়পীর মাটির পৃথিবীতে আগমন করলেন। প্রকৃতিতে আনন্দ বন্যা বয়ে গেল আকাশ বাতাস গিরিপথ সহ সারা দুনিয়ার সহস্র লক্ষ মাখলুকাত সদ্যজাত শিশুর আবির্ভাব এ আনন্দে উচ্ছাসিত হয়ে উঠল। রুপবান পুত্রসন্তানের উপস্থিত সাহায্যকারীরা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিয়া শিশু টাকে  যত্ন করতে লাগলেন পূর্ণশশী সুদর্ষণ করিয়া মহান আল্লাহর শোকর গুজারী করিলেন। সাধক আবু সালেহ মুসা তাহার প্রতিবেশিদের নিকট পুত্র সন্তান লাভের সুসংবাদ দিলেন। সকাল হইতে না হইতেই পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজন তাকে দেখে  মহান আল্লাহর প্রশংসা করতে লাগলেন। খুশি ও আনন্দের ঝড় বয়ে গেল সকলের মনে। এবং সকলে লক্ষ্য করলেন সদ্যজাত শিশুটির অপরূপ সুন্দরর্য তাহার দেহে দুঃখ নাই হাত-পা সুটিয়া খেলিতেছে তাহার সর্বশরীর হইতে আলো বাহির হইতেছে। মেহমানদের মিষ্টিমুখ করাইয়া সকলের দোয়া প্রার্থনা করিলেন সৈয়দ আবু সালে মুসা। হযরত আবু সালে মুসা আনন্দঘন মুহূর্তে ভাবিতে ছিলেন শিশুর কি নাম রাখবেন। নয়নমণি পুত্রকে কি বলিয়া সম্বোধন করবেন। তাঁহার গৃহে লোকে-লোকারণ্য সকলের শুনিতে পাইলেন কারা যেন নিকটবর্তী কোন অবস্থান কোরিয়া দরুদ শরীফ পাঠ করিতেছেন। কিন্তু কোথা হতে পবিত্র  আওয়াজ আসছিল তাহা বুঝিতে পারিতেছেন না। এই আশ্চর্য ঘটনায় পিতা হযরত আবু সালে মুসাএর মনে চিন্তার উদয় হইল। ঠিক তখনই তার কানে আকাশবাণী পৌছাইল।হে আবুসালে মুসা তুমি চিন্তা করিও না তোমার গৃহে আল্লাহ পাকের বন্ধু রাসূলে করীম এর প্রিয়তম উম্মত আবির্ভূত হইয়াছেন। তুমি তোমার শিশু পুত্রের নাম রাখিবে মাহবুবে সুবহানী আর এউ জানিয়া  রাখো তাহার নাম সকলের নিকট বড় পীর আবদুল কাদের নামে পরিচিতি লাভ পাবে। এই কথা শ্রবন করিয়া আবু সালেহ মূসা (রহ:) চিন্তামুক্ত হইলো। লোকের ঢেউ ঢেউ বহিয়া চলিল তাকে দেখার জন্য। যাহারা শিশুকে দেখিতে আসিলেন তাহারা শিশুর অপরূপ চেহারা সুদর্ষণ করিয়া বিমোহিত হইলেন। মহান আল্লাহর প্রশংসা শিশুর ভবিষ্যৎ শান্তি কামনা করিতে লাগিলেন।


পরবর্তি অর্ধায়:-
9  তম  অর্ধায় বড় পীরের জন্মদিনের আশ্চর্য ঘটনা 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ