আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

১৩ তম অধ্যায় জলের উপর নামাজ আদায়

লেখক:মো:রবিউল ইসলাম 


১৩ তম অধ্যায় জলের উপর নামাজ আদায়

একদিন রাবেয়াকে হাসান নদীতীরের কাছে দেখতে পেয়ে তার নামাজের আসনখানি জলের উপর বিছিয়ে দিয়ে বললেন এস রাবেয়া আমরা এখানে একত্রে দু'রাকাত নামাজ পড়েনিই। এখানে তার উদ্দেশে ছিল রাবেয়া তার আসনখানি ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে কিনা তা দেখার। রাবেয়া বললেন হাসান আপনার কি প্রয়োজন ছিল  লোকদের দেখাবার জন্য আপনার নিজেকে এ জগতের বাজারে উপস্থাপিত করা।অর্থাৎ আধ্যাত্মিক বিভূতি প্রয়োগ করে সার্টিফিকেটে অর্জনের প্রচেষ্টা করার আপনার কি কোন প্রয়োজন ছিল। এ জিনিস আপনার মত লোকদের জন্যই প্রয়োজন হয় আপনাদের দুর্বলতার কারণে। অতঃপর রাবেয়া নামাজের আসনখানি বাতাসে উড়িয়ে দিলেন এবং নিজে উড়ে গিয়ে তার উপর বসে বললেন-হে হাসান এখানে চলে আসুন যাতে লোকেরা আমাদেরকে দেখতে পায়।কিন্তু সে অবস্থান হাসানের অর্জিত ছিল না, তাই তিনি নীরব হয়ে রইলেন রাবেয়া তাকে প্রীত করার জন্য বললেন সে হাসান আপনি যা করলেন তার তো মাছ ও হুবহু করতে পারে।এবং আমি যা করলাম একটা মাসি ও করতে পারে আল্লাহর অলি গনের আসল কাজ রোধে এবং আমাদের পক্ষে আসল কাজে ব্যস্ত থাকাই উত্তম। আরেকটি গল্প একটি অলৌকিক ঘটনা কথা বলা হয়েছে তার অসম্ভব একটি গূঢ় তাৎপর্য রয়েছে, এতে বলা হয়েছে যে একবার একরাতে হাসান ও আরো ২-৩ জন বন্ধু রাবেয়া সঙ্গে নিয়ে সাক্ষাত করতে আসেন এবং তার ঘরে তখন কোন প্রদীপ ছিল না।তিনি মনে মনে তাদের জন্য একটি উজ্জ্বল ঘরের কামনা করেছিলেন ততক্ষণে তার আঙ্গুলগুলো প্রদিপ এর মতো জ্বলে উঠল এবং সারা রাত্রি ব্যাপি দিনের আলো না আসা পর্যন্ত তার আঙ্গুলগুলো প্রদীপের মতো আলো দিতে থাকে এবং তারা প্রভাত পর্যন্ত সেই আলোতে বসে থাকেন। তার জীবনী কারে এ ব্যাপারে মন্তব্য হলো যদি কেউ বলেন এটা কি করে সম্ভব হল। তাহলে আমি বলব এর ঘটনা ছিল মুসা (আ:)   হাতের লাঠির ঘটনার মতোই। এবং যদি বলা হয় যে দিনের জন্য বিরতি নেন তাহলে আমি বলব যে কেউ নবীর কথা মেনে চলবেন তিনি তার পুরস্কার হিসেবে নবীর মর্যাদা কিছু অংশ লাভ করবেন।

বর্ণিত আছে যে জুলফা বলেছিল আমির আমি ওকে বললাম ওগো ফুফু আপনি কেন লোকদেরকে আপনার সঙ্গে দেখা করতে দেন না রাবেয়া বললেন আমার ভয় হয় যে আমার মৃত্যুর পর লোকেরা আমি যা করিনি বা বলিনি তাই লুটিয়ে বেরাবে। তা যদি আমি তখন দেখতে পেতাম তো ভয় করতাম অথবা বিশ্বাস করতাম লোকে আমাকে বলে যে আমি নাকি আমার নামাজের আসনের তলা থেকে টাকা পাই, এবং আমি নাকি আগুন ছাড়াই  রান্না করি। আমি তাকে বললাম লোকেরা আমার সম্বন্ধে বলে যে আপনি আপনার ঘরের মধ্যেই খাদ্য ও পানীয় দ্রব্যাদি পেয়ে থাকেন। তিনি বললেন হে আমার ভাতৃপুত্রী যদি আমার ঘরের মধ্যেও সেসব জিনিস পেতাম তাহলেও আমি তাতে হাত দিতাম না বা স্পর্শ করতাম না।কিন্তু আমি তোমাকে বলছি যে আমার প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আমি ক্রয় করে থাকি এবং তাতেই আমি পরিতৃপ্ত।রাবেয়া সম্বন্ধে এসব কাহিনী বলি কাহিনী হিসেবে গণ্য নগণ্য কিন্তু এগুলি থেকে একথা স্পষ্ট হয়ে যায় যা তার জীবনীকরণ বিশ্বাস করতেন।যে তার অলৌকিক ক্রিয়া সম্পাদনের দক্ষতা ছিল।যা ইসলামের সকল ওলির ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। এবং এছাড়াও তারা বিশ্বাস করতেন যে তার স্বপক্ষে অলৌকিক ক্রিয়া কান্ড গুলি সংগঠিত করা হতো যাতে আল্লাহ তার সেবিকাকে কি বন্ধু কি সত্রু উভয় চোখেই তা কৃপাধন্য বলে প্রতিপন্ন হত।এ ব্যাপারে আক্তারের নিজের মন্তব্য হচ্ছে তার দ্বারা বা তার জন্য সংঘটিত এই অলৌকিক কান্ড গুলি শ্রতাদের কাছে এ কথা স্পষ্ট করে দিত যে আল্লাহর কৃপা তার চিরসঙ্গী ছিল।

পরবর্তী অধ্যায় রাবেয়া বসরী (রহ:)-এর খোদাভীরু  জীবন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ