আল-কুরআনের আলো

১১তম অধ্যায় হযরত রাবেয়া বসরীর অলৌকিক কার্যাবলী

লেখকঃ মোঃ রবিউল ইসলাম

১১ তম অধ্যায় হযরত রাবেয়া বসরীর অলৌকিক কার্যাবলী।


অলৌকিক ঘটনাগুলি অধিকাংশেরই কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নাই।  তবুও ওলীদের সম্বন্ধে কথিত অন্যান্য কথা কাহিনীর মতোই এগুলির মূল্য রয়েছে। এবং তা আরো বেশি করে রয়েছে জনগণ এ ধরনের ওলিকে কি ধরনের মর্যাদা দিতেন তা নিরূপণের ক্ষেত্রে।

সুফিরা স্বয়ং এ ধরনের অলৌকিক ক্ষমতা প্রয়োগের উপর খুব কম গুরুত্ব দিতেন। কথিত আছে যে ইয়াজিদ আল বিসতামী বলেছেন:-

ওলিগণ তাদের প্রার্থনার প্রতুত্তরে মোটেই উল্লসিত হন না,এই প্রার্থনা গুলি হল অলৌকিক ক্রিয়াকান্ডের সারবস্তু। যথা পানির উপর হাটা, বাতাসের মধ্য দিয়ে চলা, সারা পৃথিবীর ঘোড়া এবং  শূন্য মার্গে ভ্রমণ করা। কেননা অবিশ্বাসীগণও তাদের প্রার্থনার জবাব পেয়ে থাকে। 
এই পৃথিবী শয়তান  ও মানুষ সকলেরই বাসস্থান। এবং আকাশ পাখিদের বিচরণ এবং জল মাছেদের আবাসভূমি। যদি কেউ এসব দেখে হতবুদ্ধি হয় সে যেন এই কারসাজিতে আত্মা স্থাপন না করে। 
আবু ইয়াজিদ এর সম্বন্ধে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, একজন লোক তার কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, আমি শুনেছি যে আপনি বাতাসের মধ্য দিয়ে চলতে অর্থাৎ উঠতে পারেন। তিনি বললেন এতে আর আশ্চর্যের কি আছে। একটি পাখিও তার মধ্যে দিয়ে যেতে পারে এবং একজন মুমিন একটি পাখির চেয়ে অনেক বেশি মর্যাদা সম্পন্ন।
বসরার রাবেয়ার প্রতি আরোপিত অলৌকিক ক্রিয়াকাণ্ড সম্পর্কিত গল্পগুলির সংখ্যাও কম নয়।এবং তার জীবনের যেকোনো বর্ণনাতেই সেগুলির স্থান অবধারিত। এগুলির অধিকাংশই প্রতিপাদ্য বিষয় হলো আল্লাহর দাসির প্রতি প্রযত্ন  এবং তার প্রয়োজন পূরণের ব্যবস্থা। এবং তার উপর তার সম্পূর্ণ নির্ভরতা। 

ফরিদুদ্দিন আক্তার ঐ কাহিনী গুলির অনেকগুলি সংগ্রহ করেছে যার মধ্যে কিছু কিছু অন্য লেখকদের লেখার মধ্যেও পাওয়া যায় তিনি বলেন:
এক রাতে রাবেয়ার ঘরে চোর ঢুকেছিল, যখন তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। চোর তার হস্তগত করে, সমস্ত কাপড় -চোপড়  চুরি করার চেষ্টা করে। তারপর সে তার লুণ্ঠিত মালামাল নিয়ে পালাতে চেষ্টা করে কিন্তু দরজার দিকে পথ খুঁজে পায়না সে বহির্বাসটি ফেলে দেয় এবং তখন রাস্তা খুঁজে পায়। এবং আবার সে বহির্বাসটিতুলে নেয় এবং আবার রাস্তা খুঁজে পেতে অপারগ হয়। সে এইভাবে সাতবার চেষ্টা করে তখন ঘরের কোণ থেকে এক অদৃশ্য কণ্ঠস্বর বলে ওহে, বৃথা হয়রান হইও না কারণ সে অনেক কাল আগে থেকেই আমার হাতে নিজেকে সমর্পণ করেছে শয়তানের সাহস হয় না তার কাছে ঘেষার। চোরের কি সাধ্য জে তার দিকে হাত বাড়ায়। ওই চোর তুমি তার ঘরে চুরির ধান্দা ছেড়ে দাও কারণ যদি এক বন্ধু ঘুমিয়ে থাকেন, তো অপর বন্ধু জেগে পাহারা দিচ্ছেন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ