আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

৩৭ তম অর্ধায় জৈনক খ্রিস্টান দর্জির ইসলাম গ্রহণ


লেখক: মো: রবিউল ইসলাম 
৩৭ তম অর্ধায় জৈনক খ্রিস্টান দর্জির ইসলাম গ্রহণ

শেখ বাহারুল হক কুদ্দুস হইতে জানা যায় হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র:)- এর জামা কাপড় সেলাই করিয়া দিত একজন খ্রিস্টান দর্জি। উক্ত দর্জি- বড়পীর এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করিয়া পরিপূর্ণ মানবে পরিনত হয়েছিলেন। প্রথম হতেই হযরত বড় পীরের দরবারে আশিয়া বসিয়া থাকিত। ইসলাম বিষয়ক নানা তত্ত্বালোচনা সুনিত। এবং মাঝে মধ্যে হযরত বড় পীর এর নানারকম অলৌকিক কর্মকাণ্ড দেখিতো। ইহাতে তাহার জ্ঞানের বৃদ্ধি ঘটিয়াছিল। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর খ্রিস্টান বুঝিতে পারিল যে সারা জাহানের এবং সমুদ্র সৃষ্টির মালিক একমাত্র আল্লাহ তিনি লা শারিক তাহার সন্তানাদি নাই তিনি কাহারও হইতে সৃষ্ট হন নাই। তিনি একক তিনি কারো পিতা নহেন। ক্রমে ক্রমে তাহার চিন্তা-চেতনায় ইসলামের জাগ্রত সত্ত্বা ধরা পড়িতে লাগিল। সে দিনে দিনে ইসলামের দিকে ঝুঁকিয়ে পড়িতে লাগিল নিজের এতদিনের বিশ্বাস দূর হইতে লাগিল।
হযরত ঈসা (আ:) মহান আল্লাহ তায়ালার পুত্র বলিয়া খ্রিষ্টান জাতিরা যে মতামত প্রচার করিতেছে তাহা যে সত্য নহে ইহা বুঝিতে পারিল। নিজের বিবেক দ্বারা বুঝিতে পারিল যে ইসলাম সত্যিকারের ধর্ম। ইহার ভিতর কোনো গলদ নাই। অপরদিকে খ্রিস্টান ধর্ম যাহা প্রচলিত আছে তাহাদের মিথ্যা আকিদার স্থান রহিয়াছে।তাহার বাইবেল সম্পর্কে ভালো জ্ঞান ছিল। পবিত্র কুরআনের কথা হযরত বড়পীর রাহমাতুল্লাহ এর দরবারে বসিয়া সোনিয়া যাইতো বাড়িতে গিয়া তাহা আবার বাইবেল বর্ণিত বিভিন্ন বিষয়গুলি মর্মার্থ তালাশ করিয়া, বুঝিতে পারিল হযরত মুহাম্মদ ধর্মপ্রচারক ইহার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আমি যে সময় তোমাদের নিকট ছিলাম সে সময় তো তোমাদেরকে বলিয়াছি যে সৃষ্টিকর্তা পবিত্র আত্মা তোমাদের নিকট প্রেরণ করিবেন। যিনি তোমাদেরকে যাবতীয় বিষয়ে ভালোভাবে শিক্ষা দিবেন তোমরা তাহার আগমনের জন্য অপেক্ষা করিও, নিশ্চয়ই তিনি আসবেন।দর্জী ভাবিয়া দেখিল বাইরে যে মহাপুরুষের আগমনবার্তা রহিয়াছে তাহা বর্তমান যুগের সাহেবের মনগড়া মহাপুরুষ নহেন। তিনি ছিলেন আছেন এবং সত্যতা প্রকাশ করিয়াছেন।আমরা কেন পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিলাম না কেনই বা মহাপুরুষ কে শেষ নবী হিসেবে স্বীকার করিয়া প্রচারিত দিন ইসলামে দীক্ষিত হইলাম না।হায়,হায়, আমি কি করিলাম মিথ্যাকে আঁকড়াইয়া ধরিয়া মানব জন্মের কলঙ্ক হইলাম। কত অন্যায় ও ঘোষিত কাজ করিতেছি হায় হায় বলে কবরে মুনকার নাকিরকে কি জবাব দিব। সে চিন্তা করল পাপের জীবন্ত পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছে তাহার খিদমতে বাকি জীবনটা কাটাইতে পারলে হয়তো আল্লাহ তায়ালা মাফ করিয়া দিবেন। খ্রিস্টান-এর যাতায়াত ছিল হুজুর বড়পীর(র:) - এর দরবারে যিনি তাহার মনের আশা আকাঙ্ক্ষা দ্বীন ইসলামের দিকে পুরোপুরি আকৃষ্ট হইয়া গেলহ তখন একদিন সে বড় পীর এর নিকট আসিয়া নিজের মনের ভাব ব্যক্ত করে শ্রবণ করিয়া ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করিলেন।এবং সঙ্গে সঙ্গে ইসলামের শিক্ষা দিতে লাগিলেন।ইলমে জাহেরী ও বাতেনী সকলে শিক্ষা দিতে লাগিলেন।ইসলামের যাবতীয় রীতি-নীতি বিধি-নিষেধ শরীয়তের হুকুম আহকাম সবিতাকে শিখাইলেন। অতি অল্পকালের মধ্যে বুঝিতে পারিল ইসলাম সত্যধর্ম। এই ধর্মপথ ব্যতীত মুক্তির অন্য কোন পথ নাই কিভাবে সে আমল করিয়া সত্য মানুষ হইয়া পরকালে কঠিন শেষ বিচারের দিনে রক্ষা পাইবে। মুনকার নাকিরের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার খুবই কঠিন। কিভাবে তাদের জিজ্ঞাসার জবাব দেব।তাদের জিজ্ঞাসার জবাব  দেয়া কঠিন। পুলসিরাত পার হইতে হইবে নানা ভাবনা হৃদয়ে লাগিল। নব মুসলিম দর্জি লোকটি হযরত বড়পীরের নিকট আরজ করিল কবরের কঠিন আযাবের কথা ভাবিয়া আমার ভয় হইতেছে। মুনকার নাকিরের কঠিন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কিভাবে কবরের আজাব হইতে রক্ষা পাইব....?
হযরত বড়পীর বলিলেন তুমি শান্ত হও। কোন কোন ভয় করিও না তুমি আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকো তোমার মৃত্যুর পর যখন কবরে রাখা হবে এবং মুনকার নাকির আসিয়া প্রশ্ন করিবে তখন তুমি তাহাদের নিকট আমার নাম বলিবে দেখিবে আমার নাম শুনিয়া তাহার কিছু জিজ্ঞাসা না করিয়া চলিয়া যাইবে কিন্তু মনে রাখিও তাহারা যতই জিজ্ঞাসা করুক না কেন আমার নাম ব্যতীত আর কিছুই বলবে না

হযরত বড় পীর এর এই কথা শুনিয়া উপলব্ধি সাহস ফিরে পেল।এবং কিছুদিন পর সে মৃত্যুবরণ করল তাকে দাফন করা হইলে, কবরের মধ্যে ফেরেশতা মুনকার নাকির ভয়ঙ্কর রূপে হাজির হইলেন। তাহারা তাঁহাকে লক্ষ্য করিয়া জিজ্ঞাসা করিল তোমার ধর্ম কি লোকটি উত্তর করলো আমার ধর্ম মহিউদ্দিন। আব্দুল কাদের জিলানী ফেরেশতারা এরূপ উত্তর পাইয়া অবাক হইয়া গেল। তারা আল্লাহকে  জিজ্ঞাসা করিলেন হে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পাক আপনার অজানা কিছু নাই আমরা কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না এই কবরবাসির প্রশ্নের জবাবে আপনার প্রিয় বান্দা মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের জিলানী(র:) - এর নাম ব্যতীত আর কিছুই বলতেছেন না। এরূপ ঘটনা তো আর কখনো দেখি নাই এখন আপনার হুকুম জানাইয়া দিন। মহান আল্লাহ ফেরেশতাদের আবেদনের জবাবে বলিলেন আমি উক্ত কবরবাসীর কবরআজাব আমার প্রিয় বান্দার নামের গুনে মাফ করিয়া দিলাম।
হে ফেরেশতাদ্বয় তোমরা জানিয়া রাখ তাহাকে আমি অতি সহজভাবে কঠিন পুলসিরাত পার করাইয়া দিব। তার কোন হিসাব পত্র রোজ কিয়ামত এলা হইবে না তাহাকে ফেরদৌস দান করা হইবে।মহান আল্লাহ পাকের ফেরেশতাদ্বয় উক্ত দর্জিকে আর কিছুই বললেন না। তারা সেখান হইতে চলিয়া গেলেন অতঃপর মহান আল্লাহর ইশারায় কবরে শান্তি নামিয়া আসিল

 পরবর্তী অধ্যায়ে জ্বিনের বাদশাহ এর কবল হইতে ভৃত্যকে উদ্ধার

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ