লেখক:মো: রবিউল ইসলাম
৩১তম অর্ধায়
হযরত শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ আনসারী হইতে জানা যাইতেছে যে:-
হযরত বড় পীর (র:) -এর ইশারায় পুরিয়া ভষ্ম হইয়া যাওয়া একজন আল্লাহ প্রেমিক ফকিরের পুনরুত্থান ঘটিয়াছিল।
লেখক তাহার মুনা কাপ গাউছিয়া কিতাবে তার বর্ণনা দিয়েছেন কারামত নিম্নরূপ :-
একদা হযরত বড় পীর (র:) সৈয়দ আহমদ নামে এক ব্যক্তি কে পরীক্ষা করিবার মনস্থ করলেন, তিনি একটি বৃক্ষের তলে বসিয়া আল্লাহর জিকিরের মগ্ন থাকিতেন তাহা চতুর্দিকে ছড়াইয়া পড়িয়াছিল।
হযরত বড় পীর (র:) একখানা কাগজে প্রশ্ন রাখিলেন,
ইশক কি বস্তু...? উহা কিরকম...?
অতঃপর উক্ত কাগজ খানা তাহার একজন খাদেম মারফত দরবেশের নিকট পাঠাইয়া দিলেন।
হযরত বড়পীর (র:) -এর প্রেরিত খাদেম দরবেশের নিকট আসিয়া সবিনয় সালাম প্রদান পূর্বক কাগজখানা তাহার হস্তে দিলেন। দরবেশ সাহেব হযরত বড় পীর (র:) -এর পত্রখানা অতি আদরের সঙ্গে গ্রহণ করিয়া শত শত বার পাঠ করলেন।
অতঃপর উহাতে যা ছিল ছিল তাহা পাঠ করিয়া তিনি বলিয়া উঠিলেন।
আল- ইশকু নারুন ইয়াহরুকু মাতা আবিল্লাহ -
ইশক তো অগ্নী বিশেষ। ইহা অতি শক্তিশালী আগুন দেয় কোন আগুন নাই এই অগ্নিতে জলিয়া পুরিবে না একমাত্র মহান আল্লাহপাক ব্যতীত সমুদয় জ্বলিয়া পুড়িয়া ভর্ষ হইয়া যায়।
সাধক যখন ইশক এর ব্যাখ্যা করেছিলেন তখনই আল্লাহর অসীম কুদরতে সহস্যায় অগ্নি প্রজ্বলিত হইল এবং মুহুর্তের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে বৃক্ষলতা পুরিয়া গেল দরবেশ এবং তৎসংলগ্ন কোনো চিহ্নমাত্র হইল না।
হযরত বড়পীরের খাদেম ভীত হইয়া পড়িলেন তিনি অগ্নি দাও দাও করিয়া জলিয়া উঠিতে দেখিয়া একটু দূরে সরিয়ে সবই লক্ষ্য করলেন। এবং বিশ্ময়ে অভিভূত হইয়া পড়িলেন। সে ভয় কাঁপিতে কাঁপিতে হযরত বড় পীর (র:) -এর দরবারে ছুটিয়া গেলেন।
খাদেম হযরত বড় পীরের নিকট দরবেশের উক্তি সমূহ সবিস্তারে বর্ণনা করিলেন। অতঃপর হযরত বড় পীর তৎক্ষণাৎ খাদেমকে সঙ্গে লইয়া অতি দ্রুত শেই পুড়িয়া যাওয়া ভষ্ম হইয়া যাওয়া ভষ্মস্তুপের সম্মুখে হাজির হইলেন। হযরত বড় পীর (র:) ভষ্মের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া বলিলেন। আলম বিচ্ছুরিত দ্বিশ্বমানি স্বমূর্তি ধারণ করো।
এই বলিয়া ভষ্মের উপর হাত রাখিতেই। সাধক সৈয়দ আহমদ ঘুম হইতে সদা জাগরণের পর কালেমা পাঠ করিতে করিতে উঠিয়া বসিল।
সাধক শেখ সৈয়দ আহমদ হযরত বড় পীর(র:) -কে তাহার সম্মুখে দেখিতে পাইয়া বিনীতভাবে সালাম প্রদান করিলেন। অতঃপর বড়পীর সৈয়দ আহমদ মারেফতের দিক্ষা দিলেন।
পরবর্তী অর্ধায়
কামালিয়াতের পূর্ণতা
৩১তম অর্ধায়
- ভষ্ম হইতে আল্লাহ প্রেমিক ফকিরের পুনরুত্থান
হযরত শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ আনসারী হইতে জানা যাইতেছে যে:-
হযরত বড় পীর (র:) -এর ইশারায় পুরিয়া ভষ্ম হইয়া যাওয়া একজন আল্লাহ প্রেমিক ফকিরের পুনরুত্থান ঘটিয়াছিল।
লেখক তাহার মুনা কাপ গাউছিয়া কিতাবে তার বর্ণনা দিয়েছেন কারামত নিম্নরূপ :-
একদা হযরত বড় পীর (র:) সৈয়দ আহমদ নামে এক ব্যক্তি কে পরীক্ষা করিবার মনস্থ করলেন, তিনি একটি বৃক্ষের তলে বসিয়া আল্লাহর জিকিরের মগ্ন থাকিতেন তাহা চতুর্দিকে ছড়াইয়া পড়িয়াছিল।
হযরত বড় পীর (র:) একখানা কাগজে প্রশ্ন রাখিলেন,
ইশক কি বস্তু...? উহা কিরকম...?
অতঃপর উক্ত কাগজ খানা তাহার একজন খাদেম মারফত দরবেশের নিকট পাঠাইয়া দিলেন।
হযরত বড়পীর (র:) -এর প্রেরিত খাদেম দরবেশের নিকট আসিয়া সবিনয় সালাম প্রদান পূর্বক কাগজখানা তাহার হস্তে দিলেন। দরবেশ সাহেব হযরত বড় পীর (র:) -এর পত্রখানা অতি আদরের সঙ্গে গ্রহণ করিয়া শত শত বার পাঠ করলেন।
অতঃপর উহাতে যা ছিল ছিল তাহা পাঠ করিয়া তিনি বলিয়া উঠিলেন।
আল- ইশকু নারুন ইয়াহরুকু মাতা আবিল্লাহ -
ইশক তো অগ্নী বিশেষ। ইহা অতি শক্তিশালী আগুন দেয় কোন আগুন নাই এই অগ্নিতে জলিয়া পুরিবে না একমাত্র মহান আল্লাহপাক ব্যতীত সমুদয় জ্বলিয়া পুড়িয়া ভর্ষ হইয়া যায়।
সাধক যখন ইশক এর ব্যাখ্যা করেছিলেন তখনই আল্লাহর অসীম কুদরতে সহস্যায় অগ্নি প্রজ্বলিত হইল এবং মুহুর্তের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে বৃক্ষলতা পুরিয়া গেল দরবেশ এবং তৎসংলগ্ন কোনো চিহ্নমাত্র হইল না।
হযরত বড়পীরের খাদেম ভীত হইয়া পড়িলেন তিনি অগ্নি দাও দাও করিয়া জলিয়া উঠিতে দেখিয়া একটু দূরে সরিয়ে সবই লক্ষ্য করলেন। এবং বিশ্ময়ে অভিভূত হইয়া পড়িলেন। সে ভয় কাঁপিতে কাঁপিতে হযরত বড় পীর (র:) -এর দরবারে ছুটিয়া গেলেন।
খাদেম হযরত বড় পীরের নিকট দরবেশের উক্তি সমূহ সবিস্তারে বর্ণনা করিলেন। অতঃপর হযরত বড় পীর তৎক্ষণাৎ খাদেমকে সঙ্গে লইয়া অতি দ্রুত শেই পুড়িয়া যাওয়া ভষ্ম হইয়া যাওয়া ভষ্মস্তুপের সম্মুখে হাজির হইলেন। হযরত বড় পীর (র:) ভষ্মের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া বলিলেন। আলম বিচ্ছুরিত দ্বিশ্বমানি স্বমূর্তি ধারণ করো।
এই বলিয়া ভষ্মের উপর হাত রাখিতেই। সাধক সৈয়দ আহমদ ঘুম হইতে সদা জাগরণের পর কালেমা পাঠ করিতে করিতে উঠিয়া বসিল।
সাধক শেখ সৈয়দ আহমদ হযরত বড় পীর(র:) -কে তাহার সম্মুখে দেখিতে পাইয়া বিনীতভাবে সালাম প্রদান করিলেন। অতঃপর বড়পীর সৈয়দ আহমদ মারেফতের দিক্ষা দিলেন।
পরবর্তী অর্ধায়
কামালিয়াতের পূর্ণতা
0 মন্তব্যসমূহ