আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

২য় অর্ধায় পৃথিবীর বুকে মানুষ

লেখক: মো:রবিউল ইসলাম 

                         ২য় অর্ধায়
                    পৃথিবীর বুকে মানুষ

আল্লাহপাক আদমকে সৃষ্টি করে জান্নাতে বসবাস করতে দিলেন,আর সঙ্গিনী হিসেবে সৃষ্টি করে দিলেন বিবি হাওয়া কে তারাই বাম পাঁজরের অস্থি থেকে
তারা উভয়েই সুখে-শান্তিতে জান্নাতে বসবাস করতে লাগলেন, আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে এক বৃক্ষ দেখিয়ে বললেন তোমরা কখনো এই বৃক্ষের কাছেও যেয়ো না
চিরস্থায়ী জান্নাত এ হযরত আদম(আ:) কে দেখে শয়তানের গাত্রদাহ শুরু হলো, তাদেরকে বিপথগামী করতে উদ্যত হলো- আদম ও হাওয়া (আ:) -কে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে  বৃক্ষের নিকট আসতে বাধ্য করলো।
কিন্তু সেই বৃক্ষের ফল ভক্ষণ করতে আদম ও হাওয়া(আ:) -এর প্রতি নিষেধাজ্ঞা ছিল। এবং ইবলিশ তাদেরকে নানান রকম প্রলোভন দেখিয়ে ওই গাছের ফল ভক্ষণ করানো হলো। ফলে তারা নিজেদের অজান্তেই আল্লাহর মর্জির খেলাফ করে ফেললেন।
আল্লাহ তাআলার হুকুম অমান্য করায় আদম এবং হাওয়া কে পৃথিবীতে নামিয়ে দিলেন। মূলত যে উদ্দেশ্যে মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছিল সে উদ্দেশ্যই সফল হলো এভাবেই আল্লাহর প্রতিনিধিরূপে মানব পৃথিবীতে আগমন করলেন। পৃথিবীতে এসে হযরত আদম ও হাওয়া(আ:) নিজেদের ভুলের কথা বুঝতে পেরে সাথে সাথে সেজদা রত হয়ে আল্লাহর দরবারে নিবেদন করতে লাগলেন যে-
ربنا ظامنا اتینا وان لم تغفرلنا وترحمنا لنکونن منالخاسرین-

উচ্চারণ:-  রাব্বানা. যলামনা. আনফুসানা. ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা অতার হামনা লানাকূনান্না মিনাল খা-সিরিন।

অর্থ:- হে আমাদের প্রতিপালক আমরা আমাদের নফসের উপর জুলুম করেছি, যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি রহম না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবো।
এভাবে বহু বছর কান্না-কাটির পর আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে ক্ষমা করে দিলেন। এবং তাদের বিচ্ছিন্নতা দূর করে একত্রিত করে দিলেন। আর তখন থেকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে আদম-হাওয়া(আ:)-এর মাধ্যমে শুরু হলো মানবের পদচারণ।

পরবর্তী অর্ধায় 
বিশ্ব নবীর আবির্ভাবের সময় প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের অবস্থা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ