আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

১ম অর্ধায় জিন ও মানব জাতির সৃষ্টি

লেখক: মো:রবিউল ইসলাম 

                       ১ম অর্ধায়
             জিন ও মানব জাতির সৃষ্টি

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানবজাতির পূর্বে জ্বিন সৃষ্টি করেছেন।
সৃষ্টির পর আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীকে এদের আবাসভূমি হিসেবে নির্ধারণ করে দিলেন  তাদেরকে আল্লাহর ইবাদতের নির্দেশ দেয়া হলো, কিন্তু পৃথিবীতে আগমনের পড় তারা আল্লাহ তা'আলার হুকুম কে ভুলে গিয়ে তারা নাফরমানীতে লিপ্ত হওয়ায় তারা আল্লাহর ক্রোধে নিপতিত হলো

আল্লাহ তাআলা মনস্থ করলেন জিনের পরিবর্তে পৃথিবীতে তার প্রতিনিধি বানাবেন মানুষকে তাই তিনি এ ব্যাপারে পরামর্শ করলেন ফেরেশতাদের সাথে। ইতোপূর্বে  যেহেতু পৃথিবীতে প্রেরিত প্রতিনিধি আল্লাহর ইবাদত পরিহার করে,তারা নাফরমানীতে ডুবেছিল তাই তারা পৃথিবীতে প্রতিনিধি প্রেরণ না করারই পরামর্শ প্রদান করল। এদিকে ইঙ্গিত করে কুরআনে কারীমে বলা হয়েছে-
واذ قال ربقا للملایکة انی جاعل فی الارض خلیفة قالوا اتجل فیھا من تفسد فیھا ویسفلا الدماء ونحن نسبح بحمدک ونقدس للا قال انی اعلم مالا تعلمون-

 উচ্চারণ :- ওয়া ইয ক্বা-লা রাব্বুকা লিলমালা-ইকাতি ইন্নী জা -ইলুন ফিল আরদ্বি খালিফা ক্বালু আতাজ আলু ফীহা -মাঁই ইয়ুফসিদু ফীহা -ওয়া ইয়াসফিকুদ্দিমা -য়া ওয়া নাহনু নুসাববিহু বিহামদিকা ওয়ানু ক্বাদ্দিসু লাকা।ক্বালা ইন্নী আলামু মা-লা-তালামুন

অর্থ:-  স্মরণ করো ঐ সময়ের কথা, যখন আপনার প্রতিপালক ফেরেশতাদেরকে বললেন- নিশ্চয়ই আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি প্রেরণ করব। তারা বলল আপনি কি তথায় এমন জাতিকে প্রেরণ করবেন যারা অশান্তি সৃষ্টি করবে, আর রক্তপাত ঘটাবে। অথচ আমরাই তো  আপনার প্রসংশায় স্তুতি  এবং পবিত্রতা, ও মহিমা বর্ণনা করিতেছি। আল্লাহ বললেন- নিশ্চয় আমি যা জানি তোমরা তা জানো না।

অতঃপর আল্লাহ পাক মাটি দিয়ে আদমকে সৃষ্টি করলেন। এবং ফেরেশতাদেরকে সকল সৃষ্ট বস্তুর নাম শিক্ষা দিলেন এবং মহান আল্লাহতালা সেসব বিষয়ে পরবর্তীতে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন এবার বল আমি যা তোমাদেরকে শিখিয়েছিলাম ফেরেশতারা বলতে পারল না।
তখন আল্লাহপাক হযরত আদম(আ:) -কে শেসব বস্তুর নাম বলতে নির্দেশ করলেন আদম (আ:) ঝরঝর  করে সব বলে দিলেন। কেননা হযরত আদম (আ:) এর  আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান ছিল। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদেরকে নির্দেশ দিলেন আদম (আ:) -কে সিজদা করতে। ফেরেশতারা হযরত আদম (আ:) কে সিজদা করলো। কিন্তু ইবলিশ সিজদা করল না। সে বলল আমি সৃষ্টি হয়েছি আগুন দ্বারা। আর আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে মাটি দ্বারা। কাজেই আমিই উত্তম আর উত্তম কি করে অধমের সম্মুখে মস্তক নত করবে।

আল্লাহ তায়ালা ইবলিশের দম্ভোক্তিতে  অসন্তুষ্ট হলেন। তার উপর আল্লাহর অভিশাপ নেমে এল, চিরতরে জান্নাত থেকে বহিস্কৃত করা হলো ইবলিশ কে। তখন ইবলিশ আল্লাহর কাছে দীর্ঘায়ু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তার প্রার্থনা মঞ্জুর করেন। তখন সে শপথ করে বলল এই আদমের কারণে আমাকে চিরস্থায়ী জান্নাত থেকে বহিষ্কৃত হতে হল, যে করেই হোক আমি আদম ও তার সন্তানদেরকে বিপথগামী করবই।
আল্লাহ বললেন- তুমি কখনোই আমার বান্দাদের বিপথগামী করতে পারবেনা। তখন থেকেই শুরু হয় মানুষ ও ইবলিশের দণ্ড যা আজও বিদ্যমান এবং কেয়ামত পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে।


পরবর্তী অর্ধায় বিশ্ব নবীর আবির্ভাবের সময় প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের অবস্থা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ