আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

৩য় অর্ধায় বেলায়েতের সম্রাট গাউসুল আজম বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জীলানি (র:)



লেখক : মো: রবিউল ইসলাম 
                        ৩য় অর্ধায়
বেলায়েতের সম্রাট গাউসুল আজম বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জীলানি (র:)

মাউলা আলি শেরে খোদা কারামুল্লাহি ওয়াজহাহুল করিম থেকে বর্ণিত-
দয়াল নবীজী (সা:) কোন এক সময় মহান আল্লাহ পাকের দরবারে হাত উঠিয়ে আরজ করলেন।
ওগো দয়াময় তুমি আমার সেই প্রতিনিধির ওপর রহমত ও করুনা বর্ষন কর,যে আমার পরে পৃথিবীতে আগমন করবে এবং আমার হাদিস যথার্থ ও সঠিকভাবে বর্ননা করবে।আমার মৃতপ্রায় দ্বীনইসলামকে নবজীবন দান করবে।
দয়াল নবীর ভবিষ্যতবানী অনুযায়ী প্রতিনিধি রূপে পৃথিবীতে ৪৭১হিজরির ১লা রমযানের সুবহ সাদিকে তাশরিফ আনেন খানদানে নবুয়ত তথা আহলে বাইয়েতের সদস্য,মাউলা আলির বেলায়েতী ক্ষমতার প্রতিভু,আউলিয়া কুল শিরোমনি,গাউসুল আযম হযরত পীরানে পীর দস্তগীর শায়েখ মহিউদ্দিন আবদুল কাদের জীলানি
গাউছে পাকের পবিত্র দেহ মোবারকে কখনই মশা-মাছি বসত না।লোকেরা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলতেন,আমার কাছে না আছে দুনিয়ার মিষ্টি,না আছে কোন মধু। গাউছে পাক এক মজলিস মাহফিলে ঘোষনা করলেন,বিশ্বজগতে সব ওলির গর্দানের উপর আমার কদম স্থাপিত।এই মহা বানী উচ্চারণের সজ্ঞে সজ্ঞে পৃথিবীর ৩১৩ জন ওলির মধ্যে ৩১২ নীজ নীজ কধ নত করে গাউছে পাকের অনুগত্য স্বীকার করে নেন।একজন স্বীকার করেনি মুহুর্তের মধ্যে তার বেলায়েতী শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।পরবর্তিতে সে একজন খ্রিস্টানের বাড়িতে শূকর চড়ানোর কাজে নিয়জিত হয়।একদিন শূকরের পাল নদি পার হবার সময় একটি বাচ্চা শূকরের কাঁধে করে পার করার পর তার হুস ফেরে।হায় গাউছে পাক হযরত আবদুল কাদের জীলানি(র:) এর কদম মোবারক কাধে নিতে অস্বীকার করায় আজ আমার এই পরিনতি। অনুতপ্ত হয়ে তওবা করার পর এবং বড়পীরের কদম তাহার কাধে স্বীকার করার পর তার হারানো বেলায়েতী ফিরে পায়
গাউছে পাকের ওই ঘোষনার সময় খন্জরের পাহাড়ে তখন ইবাদতরত হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ (রহ:) এ বানী শ্রবন করে সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন। হে গাউসে পাক আপনার বেলায়েতের দুটি কদম আমার শুধু কাধেই নয়,বরং আমার দুটি নয়নের ওপর এবং মাথার উপর।সঙ্গে সঙ্গে বাগদাদের মজলিসে গাউসে পাক বলেন- হে ইবনুল গিয়াস আদব ও মহব্বতের কারনে আল্লাহ ও তার রাসূল (সা:)তোমার ওপর খুশি হয়েছেন।তোমাকে সুলতানুল হিন্দ বা হিন্দুস্তানের আধ্যাত্মিক সম্রাট বানিয়ে দেয়া হলো।
তাই খাজা মাইনুদ্দিন চিশতী হাসান সানজারী (র:) গাউছে পাকের তারিফ করে বলেন- ইয়া গাউসে মো:আজম নূরে হুদা,মোখতারে নবী মোখতার খোদা,হযরত মুজাদ্দেদ আলফেসানী (র:) তার বিখ্যাত মকতুবাত শরিফে লিখেছেন-
হযরত আবদুল কাদের জিলানী (র:) এর থেকে কেয়ামত পযন্ত যত আউলিয়া,আবদাল, আফতার,আওতাদ,নুজাবা,নূক্বাবা,গাউস, কুতুব বা মুজাদ্দেদের আবির্ভাব হবে তারা সবাই তরিকতের ফয়েজ,বরকত ও বেলায়েত অর্জনের বেলায় গাউসুল আজম হযরত বড়পীরের মুখাপেক্ষী।তার মাধ্যম বা অসিলা ছারা কেয়ামত পযন্ত কোন ব্যাক্তি ওলী হতে পারবেন না।বিশ্বখ্যাত ওলী শায়খ আবুল বরকাত বিন ছখরামবী (রহ:) বলেছেন,হযরত সৈয়্যেদিনা গাউসে পাক প্রত্যেক ওলির জাহেরী ও বাতেনী অবস্থাদির ওপর দৃষ্টি রাখেন।কোন ওলি তার অনুমতি ছারা জাহেরী ও বাতেনী অবস্থাদির ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।এমন অলি আল্লাহ যারা মহান আল্লাহর সাথে কথা বলার সৌভাগ্য লাভ করেছেন তারাও গাউসে পাকের অনুমতি ছাড়া এক কদম এগিয়ে যেতে পারেনা।এসব ওলির ওপর ইন্তেকালের আগে ও পরেও তার হস্তক্ষেপ বজায় থাকে।হযরত শায়েখ আবু মুহাম্মদ কাসিম বিন ওবাইদ বসরী (র:) বলেছেন।আমি হযরত খিজির (আ:) এর কাছে হযরত বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (র:) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম।
তিনি বলেছেন আল্লাহ তায়ালা কোন ওলীর উচ্চ মর্যাদা দান করে না, যতক্ষন পযন্ত গাউসে পাক মনজু করেন।নৈকট্যপ্রাপ্ত কোন আল্লাহর ওলীকে বুযুর্গি প্রদান করা হয়না, যতক্ষন পযন্ত গাউসুল আজমের বুজুর্গি মেনে নেয়া না হয়।
গাউছে পাক বলেন সব নেককার ও বদকারকে আমার সামনে পেশ করা হয়ে থাকে,এবং লওহে মাহফুজ  আমার চোখের সামনে।আমি এ পৃথিবীতে রাসুলে পাক (সা:) এর প্রতিনিধি।আমি ঐ সময় পযন্ত কোন কথা বলি না যতক্ষন আমাকে নিশ্চিত করা না হয়।যখধ আমাকে হুকুম দেয়া হয় তখন আমি সেটা পালন করি। আমার হুকুম দাতা হচ্ছে আল্লাহ।যদি তোমরা আমাকে অস্বীকার কর,তাহলে এটা তোমাদের জন্য প্রণনাশক বিষতুল্য হবে।তোমাদের এই নাফরমানি আচরণ তোমাদের মূহুর্তের মধ্যে ধংস করে দেবে।
হানাফী মাজহাবের ঈমাম হযরত মোল্লা আলী কারী (রহ:) বলেন - যে কোন ব্যাক্তি মুসিবতে পড়ে আমর নাম ধরে ডাকবে,তার বিপদ দুর হয়ে যাবে।আর যে কোন ব্যাক্তি কঠিন বিপদে পড়ে আমার উসিলা ধরে সাহায্য প্রার্থনা করবে,তার বিপদ খোলসা হয়ে যাবে।আর যে কোন ব্যাক্তি আমার ওসিলা ধরে কিছু চাইলে তার মনবান্ছা পূরন হবে।
গাউসে পাকের তাই তারিফ করে আলে গাউস হযরতে সৈয়্যেদুনা মুরশেদ আলী আল কাদেরী আল বাগদাদি আল মেদেনীপূরী।তার দিওয়ান পাক বলেন - আনাল জিলি মুহিউদ্দিন ইসমীকা ওজিফা হায়,আজল ছে ম্যায় বানা হো নাম লেওয়া গাউছে আযম কা।৫৬১হিজরির ১১ রবিউস সানিতে হযরতে গাউসুল আজম বেছালে হক্ব (ইন্তেকাল) প্রাপ্ত হলেন।পবিত্র এই মহামিলনকে চিরজাগ্রত রাখার জন্য প্রতি বছর ঐ তারিখে পবিত্র ফাতেহা -ই -ইয়াজদহম,শরিফ পালন করা হয়।।
হে আল্লাহ আমাদের সবাইকে নবীয়ে দোজাহানের পবিত্র বংশধর হযরত গাউসে পাকের উসিলায় তার গাউসিয়াতের ফুয়ুজাত নসিব করুন।আমীন

পরবর্তী অর্ধায়
সিরাতাল মুস্তাকিম পথের সন্ধান বা অটল পথের সন্ধান

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ