আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

9 ম অর্ধায় বড়পীরের জন্মদিনের আশ্চর্য ঘটনা


লেখক : মো: রবিউল ইসলাম

পুণ্যবতী মায়ের কোলে আলোকিত করিয়া শিশু আব্দুল কাদের জিলানী (রহ:)  সেদিন পহেলা রমজান। পহেলা রমজানের বাগদাদে ভূমিষ্ঠ হলেন সকাল হইতে মাতা উম্মে খায়ের ফাতেমা (রা:) দেখিতে পাইলেন সদ্যজাত শিশু পিপাসায় কাতরাইতেছে। স্থির শান্ত হয়ে তিনি শিশুকে বুকের দুধ পান করাতে চেষ্টা করিলেন। শিশু-কিশোর আকৃষ্ট হলেন না বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন মাতা ফাতিমা কিছুতেই সে দুধ পান করিতেছেন না। শিশুটি ভূমিষ্ঠ হইয়ার পর একবার মধুপান করিয়াছেন। তাহা হইতে বিরত থাকার কারণ ছিলেন আকাশে মেঘ জমিয়াছিল রাতে প্রবল ঝড় বৃষ্টি হয়েছিল।এই দিন পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা গেছে কিনা তাহা কেহই বলতে পারেনাই। ত্রিশের সাবান পহেলা রমজান স্থিত হয় নাই। জনসাধারণ কিছুতেই পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে কিনা তাহা জানিবার জন্য কিংবা যদি রমজান শুরু হইয়া থাকে তাহলে কি করণীয়।  সে বিষয় অবগতি লাভের নিমিত্তে সাধক প্রবল হযরত আবু সালেহ মূসা (রহ:)এর নিকট উপস্থিত হইলেন।সদ্য পুত্র সন্তান লাভ করিয়া বেলা বারিতেই হযরত আবু সালে মুসা(রহ:) এর  বাড়ি হইতে বাহির হইয়া পড়িয়াছেন। হয়তোবা তিনি সাংসারিক কোন কাজ কিংবা নিকটবর্তী কোন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গিয়েছিলেন।লোকেরা তাহাকে বাড়িতে না পাইয়া রমজান সম্পর্কে জানার জন্য পদ্মার আড়াল হইতে উম্মে খায়ের ফতেমা কে অনুরোধ করলেন। হযরত ফাতেমা গৃহে পর্দার আড়াল হইতে আগন্তুকদের কথা বার্তা শ্রবন করিয়া বলিলেন।ইসলামের সরিয়ত মোতাবিক বলিলেন।সরিয়ত নির্দেশ হইল এই যে সাবান মাসের 29 তারিখ চাঁদ দেখা না গেলে কিংবা চাঁদ দেখিবার নির্ভরযোগ্য সাক্ষী-প্রমাণ না পাইলে পরের দিন রোজা রাখা ঠিক নয় যারা তাহার বাড়িতে আসছিলেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ অনু মানের ভিত্তিতে রোজা রাখিয়াছিলেন। আবার কেহ কেহ রোজা ছিলেন না যারা রোজা ছিলেন তারা রোজা ভাঙ্গীবার কথা ভাবতে ছিলেন। আর যাহারা রোজা ছিলেন না তাহারা খুশিতে ডগোমগো করিয়া উঠিল।উম্মে খায়ের ফাতিমা (রহ:) এমন সময় খেয়াল হইল যে সুবহ সাদিকের পর হতে তাহার সদ্যজাত সিশুটি কিছুতেই মধু কিংবা দুধ পান করিতেছেন না।এক প্রহর বেলা গড়াইয়া গেল এখনও সে দুগ্ধপানের বিরত রহিয়াছেন। ইহা মনে হইতেই তিনি সমাগত লোকজনকে উদ্দেশ্য করিয়া আবার বললেন আমি ঠিক বুঝিতে পারিতেছি না একটি বিষয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছে। তাহা হইল আমার সদ্যজাত শিশুটি সেই শুভ সাবেকে মধু ও দুগ্ধ পান করিয়াছে কিন্তু এখন পযন্ত মধু ও দুগ্ধ পান করছে না অনেক চেষ্টা করেও কিছু খাওয়াইতে পারছি না মুখে দিতে গেলে অন্যদিকে মুখ ঘুরাইয়া নিতেছে। ইহাতে আমার মনে হইতেছে যে সে রোজা রাখিয়াছে।আমার ধারণা আজ পহেলা রমজান হইবে উপস্থিত লোকজন জানতেন মূসা একজন  কামেল ব্যাক্তি।তাহার স্ত্রীও পূর্নবতি রমনি।তাহলে তাদের ঘরে যে পূত্রটি জন্ম নিয়েছে সেই তদ্রুপ হবে।যাহারা সকালে এসেছিল তারা এক অলৌকিক দরুদশরিফ শুনতে পেরেছিল।তাহারা ফাতিমা (রহ:) এর কথা সূনিয়া বিশ্মিত হইলেন। আপনার সন্তান যখন দুধ ও মিষ্টি মধু পান করে নাইতবে এর মধ্যে নিশ্চয়ই গভীর কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে। নিশ্চয়ই আপনার সন্তান রোজা রাখি আছে নিশ্চয়ই গতকাল সন্ধ্যায় চন্দ্র উদয় হইয়াছে আমরা মেঘের কারণে দেখিতে পাই নাই বটে কিন্তু শিশু তাহা জানিতে পারি আছে। আমাদের আর সন্দেহ নাই যে আজ পহেলা রমজান কি না। পহেলা রমজান অবশ্যই শুরু হইয়া গিয়াছে আমরা রোজা রাখবো তারপর সকলে যার যার বাড়িতে চলিয়া গেলেন। মুহূর্তেই সদ্যজাত শিশুর খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে খবর সুনিয়া নারী-পুরুষ দলে দলে আবু সালে মুসা এর বাড়িতে আসতে লাগলেন। শিশুটিকে দেখিবার জন্য সারাদিন অভূতপূর্ব আনন্দ মজলিস অব্যাহত ছিল। তাকে সকলে দেখলেন যে শিশুটি হাত পা ছুটিয়া খেলিতেছেন।

কিন্তু দুধ কিংবা মধু মুখের কাছে আনতেই সে অন্যদিকে মুখ ঘুরাইয়া নিতাছেন। সারাদিন কাটিয়ে গেল সন্ধ্যা আগত হইলো এবং মাগরিবের আযান লগ্নে স্বাভাবিকভাবে মধুপান করিলেন।
আল্লাহর অপার মহিমা মানুষের পক্ষে বুঝিবার সাধ্য নাই। জন্মমাত্রই কুতুবে রাব্বানী গাউসের ছামদানি হযরত বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রোজা পালন করিয়া স্বীয় গুণাবলীর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ প্রকাশ করিলেন তিনি আল্লাহর ওলী হলেন। ইসলামের বিধানমানিয়া চলিলেন।

পরবর্তি অর্ধায় :-
বাশল্যকাল ও শিক্ষাদিক্ষা


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ