আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

18 তম অর্ধায় অভাব অনটনের মুকাবেলায় বড়পীর আবদুল কাদের জিলানি (র:)


লেখক : মো:রবিউল ইসলাম

                        18 তম অর্ধায়
অভাব অনটনের মুকাবেলায় বড়পীর আবদুল কাদের জিলানি (র:)

* মাত্র আঠার বছর বয়সে সামান্য কয়েকটি মোহর লইয়া বড়পীর (র:)  বাগদাদে আসিয়াছিলেন।অতি অল্প সময়ের মদ্ধেই মোহরগুলো খরচ হয়ে গেল।
তার পর তাহার জীবনে অর্থের অভাব এবং অনাটন এবং কঠিন পরিক্ষা আরম্ভ হইল।বৃদ্ধা মা পুত্রের জন্য টাকা পাঠাবেন এমন সাধ্যও নাই।একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করিয়া নিদারুন দরিদ্রতায় বড়পীর (র:) এর জীবন কাটিতে লাগিল।তিনি অধিকাংশ সময় অনাহারে কাটাইতেন। নিরলস জ্ঞান সাধনায় অব্যাহত থাকতেন।নির্জনে আধ্যাতিক  অনুশিলনের সময় গভীর জঙ্গলের মধ্যে অনাহার ক্লিষ্ট হইয়া কখনো কখনো শাক সবজি,বন্য ফলমূল এমন কি বৃক্ষের লতা পাতা পযন্ত তাহার আহার্যে পরিনত হইয়াছিল।
এরকম ভয়ানক দুঃখ কষ্টের মধ্যদিয়া তাহাকে সেই সময় অতিক্রম করতে হয়েছে,তাহা কল্পনাও করা দুঃসাধ্য।এই কষ্ট সম্পর্কে তিনি বলিয়াছেন।

একদা আমি একাধিক্রমে কুড়িদিন যাবত খাদ্যের অভাবে উপবাস কাটাইয়া দুর্বল এবং নিরুপায় হইয়া পরিলাম। ক্ষুধার তাড়নায় নগরের একদিকে অবস্থীত আগেকার বাদশাহগনের পরিত্যাক্ত ধংসাবেশ প্রাসাদের নিকট খাবারের সন্ধান করিতে গেলাম।সেখানে পৌছাইয়ে দেখলাম আমার আগেই সেখানে সত্তর জন দরবেশ ক্ষুধার তাড়নায় অস্থির হইয়া খাদ্যদ্রব্য খুজিয়া বেরাইতেছে।আমি তাহাদের অসুবিধা সৃষ্টি না করে ফিরিয়া আসলাম,
শেখ আবদুল্লাহ (র:) হযরত বড়পীর (র:) এর এই সময়কার অভাব আনটনের বর্ননায় বলিয়াছেন, একদা বড়পীর (র:) ক্ষুধার তারনায় অস্থির হইয়া এক বস্তিতে উপস্থিত হইলেন।সেখানে জনৈক ব্যক্তির নিকট কিছু খাবার চাহিলেন।উক্ত ব্যাক্তি খাবারের পরিবর্তে তাহাকে একখানা পত্রদিয়া বাজারের একখানা রুটির দোকান দেখাইয়া দিলেন।দোকানদার পত্র পাঠ করিয়া বড়পীর (র:) কে সামান্য পরিমাণ রুটি মিষ্টান্ন দান করলেন।রুটি মিষ্টান্ন লইয়া তিনি মসজিদের নির্জন কক্ষে আসিয়া উহা খাইতে যাইতেছিলেন।এমন সময় তিনি দেখিতে পাইলেন সম্মুখের দেয়ালে একখন্ড কাগজ লাগানো রহিয়াছে।উক্ত কগজে কি লেখা আছে তাহা জানিবার জন্য উদ্রেক হইল।তিনি তৎক্ষনাৎ খাবার না খেয়ে কাগজখানা আনিয়া ভাজ খুলিয়া পরিলেন।আল্লাহর পথে যারা গৃহ ছারিয়াছে তাহাদের অন্তরকে পানাহার আরাম আয়েস স্পর্শ করিতে পারেনা।কারন ভোগ বিলাশিতা দুর্বল চিত্বেরই পরিচয়। হযরত বড়পীর (র:) উক্ত লিখন পাঠ করিয়া বিহবল হইয়া পরিলেন। তখন সে এমন উক্তি প্রকাশ করলেন যে লিখন খানা পাঠ করিয়া যেন সে ক্ষুধা পিপাসা ভুলিয়া গেলাম।খাবারের প্রতি আমার আর কোন আগ্রহ থাকলোনা। আমার শিরা উপসিরা এক নতুন স্পন্দন অনুভব করতে লাগলাম। তখন আমি কাপিতে কাপিতে রুটি এবং মিষ্টান্য না খেয়ে সেখানেই ফেলে দিয়ে আমি অন্য কক্ষে চলে আসলাম।এবং তখনি দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম।
কঠিন বিপদের দিনে বড়পীর (রহ:) কখনো ধৈর্য হারাইতেন না।তিনি সর্বদা আল্লাহর উপর নির্ভর করিয়া চলিতেন।আল্লাহর প্রিয় বান্দার জন্য নানা রকম পরিক্ষা নিরিক্ষার আয়োযন করে থাকেন।যাহারা পরিক্ষায় জয়লাভ করেন তারাই পৌছাইতে পারে সাধনার শেষ লক্ষে।বড়পীর (রহ:) এর জীবনেও এর ব্যাতিক্রম হয় নাই।বাগদাদের অসহনিয় দুঃখ তিনি হাসিমূখে গ্রহন করিয়াছিল।দুঃখ কষ্টের ভিতর দিয়েও কঠোর সাধনায় নিমগ্ন ছিল।অনেক সময় তাহার প্রতি অদৃশ্য সাহায্য বর্ষিত হইত।একবার তিনি ক্রমাগত অনাহারে দুর্বল হইয়া পরিলেন।কিন্তু আল্লাহর প্রতি নির্ভরতা অটূট রহিল।জিবিকার জন্য কাহারও মুখাপেখি হওয়া বা সাহায্য প্রার্থনা করা আল্লাহ প্রেমের আলামত নহে।তাই তিনি দুর্বল দেহে নদির তিরে গিয়া একান্ত মনে আল্লাহর ধ্যানে নিমগ্ন হইলেন।ধ্যানরত অবস্থায় তিনি সুনিতে পাইলেন গায়েবি নির্দেশ : হে আবদুল কাদের তুমি তোমার সাধনার পথে অবিচল থাকো।তুমি কখনোও উৎসাহ হারাইয়ো না।প্রয়োজনে কাহারও নিকট হইতে ধার কর্জ করিয়া তোমার উপস্থীত সংকট দুর কর।গায়েবী নির্দেশ আসিল হে আবদুল কাদের  জিলানী নিশ্চনতে ধার করিতে পারো তোমার ধার পরিশোধ করিবার দায়িত্ব আমার।
এই আশ্বাসবানি শ্রবন করিয়া তিনি সেখান হইতে বাজারে আসিলেন এবং রুটি বিক্রেতার নিকট হইতে বাকিতে রুটি খরিদ করিলেন।এইভাবে কয়েকদিন অতিবাহিত হলো বাকিতে রুটি ক্রয় করতে লাগলো কিছুদিন পর বাকি টাকা না দিতে পেরে তিনি লজ্জায় দোকানের সামনে জেতেন না। এমতা অবস্থায় তিনি নদির পারে বসে ছিলেন তখন কে যেন তাহার হাতের মদ্ধে কয়েকটি মোহর দিয়ে নিমিষেই অদৃশ্য হয়ে গেলেন তিনি আসে পাষে অনেক খোজাখুজি করে কাউকে না দেখতে পারায় বুঝতে পারলো সেদিনকার সেই গায়েবি আওয়াজ যা বলেছিল সেটা আজ সত্যি হলো। কিন্তু সর্বদা কি এমন হয় এক সময় তিনি অনেক ক্ষুধা পিপাসায় অস্থির হয়ে পরলেন কিন্তু আর ধারে কোন কিছু খান না।কারন তার বিশ্বাস ছিল রিজিকের মালিক আল্লাহ সে যে ভাবেই হোক তাহাবে বাচিয়ে রাখবে।এভাবে তার বাগদাদ জীবন দূর্বিসহে কাটিতে লাগিল....।


পরবর্তী  অর্ধায়
হযরত বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী(র:) এর কারামত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ