আল-কুরআনের আলো

16 তম অর্ধায় বড়পীরের মুহিউদ্দীন উপাধি লাভ


লেখক : মো: রবিউল ইসলাম

* বাগদাদের পথে দস্যুর কবলে পতিত হইবার পর দস্যু সর্দারের সৎপথে পত্যাবর্তনের মধ্যদিয়া যার্তার এক পর্যায়ে বিশ্রাম লাভের সুজোক ঘটিল।ডাকাত সর্দার বড়পীর (রহ:) এর গুনে মুগ্ধ হইয়া সৎপথে তো ফিরিয়া আসিলই উপরোক্ত তাহাকে তাদের মাঝে থাকিয়া হেদায়েত করিতে অনুরোধ করিল।বড়পীর (রহ:) তাদের অনুরোধ রক্ষা করিলেন।কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করিয়া তার পর বাগদাদ পথে যাত্রা করিলেন।পথিমদ্ধে তিনি দেখতে পেলেন এক বৃদ্ধলোক পরিয়া রহিয়াছে।তাহার কংকালসার দেহ দেখিয়া মনে হয় মৃত প্রায় মৃত্যুর মুখে পতিত হতে আর বেশিক্ষন দেরি নাই।
বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (র:)এর দিকে তাকাইয়া বৃদ্ধটি অতি করূন কন্ঠে বলতে লাগলেন, হে বাগদাদগামি বালক আমি ব্যাধিগ্রস্থ বৃদ্ধ মানুষ আমার দেহে কোন শক্তি নাই।আমি উঠিয়া বসিতে পারিতেছিনা আমাকে একটু সাহায্য কর।মানব দরদি হযরত বড়পীর (র:) তাহার কাতর প্রাথনা শ্রবন করিয়া স্বীয়হস্ত প্রসারিত করিয়া তাহার হাত ধরা মার্তই।বৃদ্ধটি একজন যুবকের ন্যায় শক্ত সামর্থ  মানূশের মতো উঠিয়া বসিল।একটু আগে যে বৃদ্ধ মৃত্যবৎ পরিয়াছিল মূহুর্তের মদ্ধে তাহার সরিলে যুবকের শক্তি ফিরিয়া আসিল।ইহা অবলোকন করিয়া বড়পীর অবাক হলেন তাহাকে বৃশ্মিত হইয়া গেলেন।তাহাকে বৃশ্মিত হইতে দেখিয়া সুদর্শন বৃদ্ধ সহাস্যে বলিল,হে বালক তুমি আশ্চর্য হইতেছো কেন।আমাকে তুমি চিনতে পারিতেছোনা।আমিতো ইসলাম ধর্ম গ্রহনকারী।মানূষের ভুলের জন্য নাফরমানির জন্য হঠকারিতা আর অবিশ্বাসের জন্য আমি জরা ব্যাধীগ্রস্থ হইয়া পরেছিলাম।তোমার হাতের স্পর্সে আমার হাতে শক্তি ফিরিয়া আসিয়াছে।
তুমি হলে মহিউদ্দিন ইসলামের নবপ্রান মনান্তারকারি...এই বলিয়া বৃদ্ধ নিমিশেই অদৃশ্য হইয়া গেল বড়পীর অবাক হয়ে বৃদ্ধের অদৃশ্য হবার দিকে তাকিয়ে রইলেন।তারপর তিনি আবার বাখদাদের উদেশ্যে রওনা দিলেন এবং পথের মদ্ধে যার সাথেই দেখা হয় সেই মুহিউদ্দীন বলে সালাম দিয়ে সম্মধন করে।তাহার আসল নাম যেন সকলেই ভুলিয়া গেল।।আর তখন হতেই বড়পীর মুহিউদ্দিন উপাধী পায়।


পরবর্তি অর্ধায়
বড়পীরের ওস্তাদ বর্গের নাম সমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ