আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

15 তম অর্ধায় ডাকাত সর্দারের আত্বসমর্পন



লেখক: মো: রবিউল ইসলাম


একদা সে বাগদাদে সফর করিতেছিল পথিমদ্ধে একদল ডাকাত তাকে ঘেরাউ করে ফেলে এবং বলে তোমার কাছে যা কিছু আছে সব আমাদের কে দিয়ে দাও নয়তো প্রানে মেরে ফেলবো।
এই কথা শুনিয়া বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী ভাবলেন যে আমি যদি মিথ্যা কথা বলি তবে ওরা আমার নিকট যে অর্থ আছে তা নিতে পারবে না।কিন্তু আমার মায়ের আদেশ যত বিপদি হোকনা কেন কখনো মিথ্যা কথা বলবেনা।তাই ডাকাত দল তোমার কাছে কি আছে জানতে চাওয়ায় সে জবাবে সত্যি কথা বল্লেন যে আমার আছে আমার মায়ের দেয়া 40 টা মোহর আছে।আমার এরুপ উত্তর শুনিয়া ডাকাত সর্দার ভয়ানক কন্ঠে বলিল কোথায় সেই মোহর..?
আমি নিরুদিগ্ন কন্ঠে বলিলাম, আমার কোর্তার আস্তীনের মধ্যে বগলের নিচে আম্মাজান সেলাই করিয়া রাখিয়া দিয়াছেন।
সর্দার তাহার কর্মিদের বল্লেন বালকটির কোর্তা খুলে মোহড় গুলা কেরে নিতে।সঙ্গে সঙ্গে ডাকাত দল আমার নিকট হইতে 40 টি  মোহড় বের করে ডাকাতের সম্মুখে রাখলেন।মোহরগুলি দেখে ডাকাত সর্দার অনেকক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন।কিছুক্ষন পরে ডাকাত সর্দার বলিল এই বোকা নির্বধ বালক।আমাদের এই লুন্ঠন অত্যাচার দেখে কিভাবে নির্ভয়ে দারাইয়া আছো।আর কোন সাহসে তুই আমাদের নিকট তোর ঐ গুপ্তধনের কথা বলিয়া দিলি।হে বালক আমাদের নিকট সত্য কথা বলিবার প্রেরনা তুই কোথা হইতে পাইয়াছিস। বল কোন শক্তি তোকে সত্য বলিতে সাহস জোগাইছে। তার জবাবে আমি বলিলাম আমার  আম্মাজান  আমাকে সুখে দুঃখে সর্ব অবস্থায় সত্য কথা বলতে উপদেশ দিয়েছেন।আমি আমার জননির উপদেশ পালন করেছি।ডাকাত সর্দার আমার কথা শুনিয়া স্তম্ভিত হইয়া গেল।সে মুহুর্তের মধ্যে ঝরঝর করিয়া ফেলিল আর বলতে লাগল হে আল্লাহ তুমি মহান তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ।
ডাকাত সর্দার তার সারাজীবনের পাপের জন্য অনুশোচনা করতে লাগলো।আজ আমি বুঝতে পারতেছি আমার অন্তরে কে যেন বলিতেছিল হে দস্যু সর্দার আহমদ তোমার জন্য এখনোও সময় আছে পাপ কাজ ছেরে সঠিক পথে আসো।আর বিলম্ব না করিয়া তোমার সামনে যেই বালক র য়েছে তাহার নিকট তওবা কর।এবং মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রাথনা কর। ডাকাত সর্দার তার দল বলের দিকে তাকাইয়ে বল্ল তোমরা শোন আমি আর এই পাপ কাজ করবোনা বলিয়া সিদ্ধান্ত নিয়াছি।আমি সৎপথে থাকিয়া আল্লাহর ইবাদত বন্দেগিথে মশগুল থাকবো।তোমরা কি করবে..? সকলে বল্ল আমরাউ আজ হতে সকল পাপ  কাজ পরিত্যাগ করবো।অতপর ডাকাত সর্দার এবং তার সাথিরা সকলে বড়পীর এর পায়ে পরে ক্ষমা চাইতে লাগিলো এবং তওবা করতে লাগিলো।।।

পরবর্তি অর্ধায়
বড়পীরের মুহিউদ্দীন উপাধি লাভ


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ