আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

14 তম অর্ধায় বড় পীরের পিতা আবু সালেহ জঙ্গী মূসা (রহ:) এর ইন্তেকাল



লেখক : মো: রবিউল ইসলাম 

14 তম অর্ধায়
বড় পীরের পিতা আবু সালেহ জঙ্গী মূসা (রহ:) এর ইন্তেকাল

বাল্যকাল হইতে সঠিক সাধনা করিয়া হযরত আবু সালেহ জঙ্গী  মূসা(রহ:) একটি পুত্র সন্তান লাভ করিয়াছিলেন।তাহার মনে অনেক আসা জন্মেছিল পুত্রকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলিবেন।পুত্রের নানা অলৌকিক কর্মকাণ্ড দর্শন করিয়া তিনি বুঝিতে পারিলেন যে এই ছেলে উপযুক্ত শিক্ষা-দিক্ষা পাইলে কালে ইসলামের মহান খিদমতগার হইবে। তাহার আজিবনের কঠোর ইবাদত বন্দেগি সফলতা লাভ করিবে।তাই পিতা-মাতা উভয়েই বাল্যকাল হইতেই বড়পীর (রহ:)কে নিজেদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষাদিক্ষা দিয়া আসিতেছিলেন।
বাল্যশিক্ষা গৃহে সমাপ্ত হবার পর মক্তবে ভর্তি করিয়া দিয়াছিলেন।মক্তবের শিক্ষা সমাপ্ত হইলে তাহাকে সুদূর বাগদাদে বিখ্যাত নিজামিয়া মাদরাসায় পাঠাইবেন  সেখানের ঙ্গানী গুনি ইসলামের বুযুর্গ ব্যক্তিগণের সাহায্যে ইসলামের সকল ধারার বিদ্যালাভ করিয়া প্রকৃত আলেম হইবেন এরুপ আসা পোষন  করিতেছিলেন। কিন্তু মহান আল্লাহর অভিপ্রায় তো অন্যরূপ। পিতার আশা পূর্ন হইবে কিন্তু তাহা তিনি দেখিয়া যাইতে পারবেনা। তাহার দুনিয়ার আয়ূ শেষ হইয়া আসিয়াছে। আল্লাহ পাকের ইশারায় তাহার নির্দেশ মতোই দুনিয়ার সবকিছু ঘটিয়া থাকে।মানুশের কিছু সাধ্য নেই নিজের ইচ্ছায় কিছু করবে। আশা নিরাশার দন্ডে হযরত আবু সালেহ মুসা (রহ:) যখন দুলিতেছিলেন তখন বড়পীর (রহ:) এগার বৎসর বয়সে পা রাখিলেন।
হযরত আবু সালেহ মুসা (রহ:)এর বয়স নব্বই পার হইয়া গিয়াছিল বৃদ্ধ মানুষ  তবুও শক্ত হাতে সংসারের হাল ধরিয়া স্ত্রী পুত্রের ভরন পোষন করিয়া যাইতেন।এমন দিনে তিনি অসুস্থ হয়ে পরলেন।চারশত একাশি হিজরী সালে জিলানে,স্বীয় স্ত্রী পুত্রকে শোকের সাগরে ভাসাইয়া দুনিয়া হইতে চিরবিদায় নিলেন।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।হযরত আবু সালেহ মুসা (রহ:)এর মৃত্যুতে গভির শোকের ছায়া নামিয়া আসিল।পিতার মৃত্যুর পর বালক হযরত আবদুল কাদের জিলানী (র:) সংসারের দায়িত্ব কাধে নিলেন।পিতার পশুর পাল এবং চাষাবাদের জমি দেখাশুনা করিতে লাগিলেন।ইহার পরও তাহাকে সমাজের বিবিধ কাজ করতে হতো।পিতার জমিজমা ফলের বাগান এবং সংসারিক ঝামেলায় হযরত আবদুল কাদের জিলানী (র:) এর মন বসিলো না।তাহার বিদ্দা চর্চা ইবাদত বন্দেগিতে বাধার সৃষ্টি হতে লাগিল।
হযরত আবদুল কাদের জিলানী (র:)এর মনে অনেক আশা তিনি বিদেশে গিয়ে লেখাপরা করবেন।কিন্তু সংসারে তার মা আছে তাই সে চাইলেউ সংসার ত্যাগ করতে পারছেনা।তাই তিনি সংসারের কাজের পাশাপাষি সময় পেলেই গভির ইবাদত বন্দেগিতে কাটাইতে লাগিলেন।


পরবর্তি অর্ধায় 
ডাকাত সর্দারের আত্মসমর্পন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ