13 তম অর্ধায় :
স্বপ্নে সাবধান বানী এবং বড়পীর (র:) এর বিভিন্ন নাম সমূহ
লেখক : মো: রবিউল ইসলাম
তখন তিনি সবে মাত্র আট বৎসরের বালক। ঐ সময় এক রজনীতে তিনি অত্যান্ত কাতর হইয়া পরিয়া তৎখনাত গিয়া নিদ্রাছন্ন হইয়া ছিলেন।নিদ্রিত অবস্থায় তিনি স্বপ্নযোগে দেখিতে পাইলেন। এক অপূর্ব সৌম্য মূর্তি তাহার সামনে উপস্থিত হইয়া বলিতেছেন,হেআবদুল কাদের নিদ্রায় সময় অতিবাহিত করার জন্য তোমার দুনিয়ায় আগমন ঘটেনি।বরং নিদ্রায় মোহাচ্ছন্য লোকদের জাগানোর জন্য তুমি দুনিয়ায় পদার্পন করিয়াছো।তোমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য অনেক বেশি। শিশু আবদুল কাদের প্রায়ই ঘুমের মদ্ধে এলুপ স্বপ্ন দেখতেন।সুতরাং তাহার কচিমনে এ প্রকার অদৃশ্যবানি ও স্বপ্নসমূহ যা তার উপর প্রভাব বিস্তার লাভ করিয়াছিল।
বাল্য স্বপ্ন সম্পর্কে বর্ণনা করিতে গিয়া জৈনক লেখক স্বীয় গ্রন্থে বর্ণনা করিয়াছেন যে,হযরত আবদুল কাদের জিলানী(র:) এর বয়স যখন আট বৎসর তখন আল্লাহর সগ্রীয় দূত আসিয়া স্বপ্নযোগে বলিলেন হে আবদুল কাদের। তুমি ওঠো, মহান রবকে বিস্মৃত হইয়া তুমি কেন নিদ্রার কোলে আশ্রয় নিতাছ..?ওঠো বিশ্ব রবের যিকিরে লিপ্ত হইয়া যাও। এ স্বপ্ন দেখিয়া তৎক্ষনাৎ তিনি নিদ্রা অবসাধ ঝারিয়া ফেলিয়া আল্লাহর নাম স্বরন নিমগ্ন হইয়া গেলেন।
* বড় পীর (র:) এর বিভিন্ন নামসমূহ :--
তাপসকুল গৌরব আবদুল কাদের জিলানী(র:) সাধারণভাবে সমগ্র দুনিয়ায় এই মূল নামে পরিচিত হলেও বিশেষভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি বিভিন্ন গুনবাচক নামে পরিচিত।
এতদঞ্চলে তিনি পরিচিত কুতুবুল আযম নামে।কোন দেশে তিনি আখ্যায়িত হন মাহবুবে সুবহানি নামে। কোথাও তিনি কুতুবে রব্বানি নামে পরিচিত। কোন কোন দেশে তাকে আখ্যায়িত করা হয় দস্তগীর আফজালুল আউলিয়া নামে।কোন কোন দেশে তিনি নূরে ইজদানি নামে পরিচিত।আবার তিনি সর্বদেশে গাউছে ছামদানি মুহিউদ্দিন নামেও সুপরিচিত।এছাড়া তাহার আরও অনেক গুনবাচক নাম রহিয়াছে।
পরবর্তি অর্ধায়:-
পিতা আবু সালেহ জঙ্গী মূসা (রহ:) এর ইন্তেকাল।
0 মন্তব্যসমূহ