আল-কুরআনের আলো

Md: Robiul islam আমি মোঃ রবিউল ইসলাম আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম, আমি নিয়মিত পোষ্ট করে থাকি, আর নিয়মিত পোষ্ট-এর আপডেট পেতে এখনই আল-কুরআনের আলো �� ওয়েব পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন ধন্যবাদ।

10 তম অর্ধায় বড়পীরের বাল্যকাল ও শিক্ষাদিক্ষা


লেখক: মো: রবিউল ইসলাম
লেখকের কিছু কথা:
ধন্যবাদ আমার সকল ভাই এবং বোনেরা বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ:) এর জিবনী পড়ার জন্য।আমার লেখায় যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।আর আমার websit এ আপনারা বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ:) এর জিবনের যত ঘটনা সব কিছু আমি অর্থায় আকারে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আসা করি কেউ একটা অর্ধায় ও মিস করবেন না।কারন উনার জীবনের এমন সব অলৌকিক ঘটনা আছে যা আপনাদের কে জানা প্রয়োজন ধন্যবাদ



           -: বাল্যকাল ও শিক্ষাদীক্ষা :-

* গাউছুল আজম হযরত আব্দুল কাদের জিলানী(রহ:) মাতৃকোলে গতিপথ যত্নের সহিত লালন-পালন হইতে লাগিলেন।
দিনে দিনে শিশুটি বড় হইতে লাগিল। তাহাড় জীবনধারা সকলকে অবাক করিল।এইভাবে দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর  ঘুরিয়া দুই বছর অতিক্রম করিলো।হঠাৎ একদিন পূর্ববতি মাতা দেখিলেন তাহার শিশুটি ঠোট নারিয়া কথা বলতে চাহিতেছে।আধো আধো শব্দ বাহির হইতেছে।মা মা তো কিছুদিন পূর্ব হইতে ডাকিতেছেন। আজ তাহার মুখ হইতে নানা নানা ডাক বাহির হইতেছে।ইহা দেখিয়া ফাতেমা বুঝিতে পারিলেন যে তাহার শিশুটি নানাজানের বিষয় জানিতে চাইতেছে।ফাতেমা (রহ:) বলিলেন কি হে তুমি কি তোমার নানা জানের কথা শুনিতে চাও..?
শিশু বড়পীর (রহ:) মাথা নারিয়া সায় দিলেন -তিনি কিছু শুনিতে চাহেন।তখন মাতা ফাতিমা বল্লেন তুমি অনেক ছোট তুমি এখন কিছু বুঝবে না।তবুও তোমাকে তোমার নানার একটা কারামতের কতা বলি।একবার তাহার একদল ভক্ত মুরীদান নিয়ে বানিজ্য উপলক্ষে মরুভুমি পাড়ি দিয়া বিদেশে যাইতেছিলেন।পথেমদ্ধে সেই কাফেলায় ডাকাত পরিল।ডাকাতরা নানা রকম অস্ত্রশস্ত্র খোলা তলোয়ার লইয়্যা কাফেলার চারিদিকে ঘিরিয়া ফেলিল।এই রকম কঠিন বিপদের  মুহুর্তে সকলে ভয়ানক ভিতো হইয়া পরিল।কোন উপায় না পাইয়া তাহারা তোমার নানাজানকে ডাকিতে লাগিলো।
তাহাদের ডাকে মরুভুমিতে সহসা বিদ্যুৎ চমকাইয়া উঠিল।তীব্র আলোর ঝলকানিতে ডাকাত দলের সকলেরই চোখে ধাধা লাগিয়া গেল।তাহাদের চোখে দৃষ্টি ঝাপসা হইয়া গেল।কিছুই দেখিতে পাইলোনা।কিছুক্ষন পর যখন ডাকাতদের দৃষ্টি ফিরে পেলেন তখন দেখতে পেলেন বড়পিরের নানা ধারালো তরবারি হস্তে দারাইয়া আছেন।তাহার বলিষ্ট সুন্দর সাহসী চেহারা দেখিয়া ডাকাতের ভয় পাইয়া গেল। ডাকাতেরা ভয়ে থর থর করিয়া কাপিতে লাগিলো।তোমার নানাজান আব্দুল্লাহ সাইমেরী (রহ:) দস্যুদের লক্ষ করিয়া শান্তকন্ঠে বলিলেন - হে দস্যুদল তোমরা একি অপকর্ম করিতেছ..?তোমরা জানিয়া মহান আল্লাহ তায়ালা কোন অন্যায় ও পাপ কাজ পছন্দ করেনা।অতএব তোমরা এই অন্যায় লুন্ঠন ত্যাগ করিয়া সৎপথে চলিয়া জিবিকা নির্বাহের ব্যাবস্থা কর। ডাকাতের দল কিছু বুঝিয়া উঠিবার আগেই হযরত সাইমেরী (রহ:) সেখান হইতে নিমিষে অদৃশ্য হইয়া গেলেন।এত দর্শনে ডাকাতদের মদ্ধে ভিতী বারিয়া গেল।তাহারা লুন্ঠন কর্য পরিত্যাগ করিয়া দ্রুত সরিয়া পরিলো।
আল্লাহর মসান কুদরতে সেই ডাকাতদল একদা তোমার নানাজানের কাছে আসিয়া তওবা করিয়া সৎপথে চলিবার জন্য ইসলামের অনুসাসন মুতাবিক জীবন যাপনের ওয়াদা করিয়া বাইয়াত গ্রহন করিল।
মায়ের মুখে শিশু এই কাহিনি শুনিয়া হঠাৎ হাসিলেন। এভাবে শিশু আবদুল কাদের জিলানী (রহ:) মায়ের কোলে বড় হইতে লাগিলেন এবং ছয় বছর বয়সে পদার্পন করিলেন। তাহার মদ্ধে কোন চঞ্চলতা ছিল না।সান্ত সভাবের বালক সবসময় খেলাধুলা নিয়া পরিয়া থাকিতেন না। পতিবেশি সমবয়সী সাথীদের সাথে বেহুদা কালক্ষেপন করিতেন না।তিনি চারিদিকের অপরুপ সৌনর্য অবলোকন করিয়া কি যেন ভাবিতেন। হযযত বড়পীর এর বাল্যকাল ছিল অতিব রহস্যঘন। সাধারন পাঁচ দশটি বালকের সহিত তাহার পার্থক্য পরিলক্ষিত হইতে লাগিল।
সাইয়্যেদ আবদুল রাজ্জাক তাহার কিতাবে বরপীর (রহ:) এর জবানীতে তাহার বাল্যকাল সম্পর্কে বলিয়াছেন:--
বাল্যকাল আমার মনে যখনই সমবয়সী সাথিদের সঙ্গে মিশিয়ে খেলাধুলা করিবার ইচ্ছা জাগিত তখনি আমি শুনিতে পাইতাম হে ভাগ্যবান বালক তুমি আমার দিকে চলে আসো। আমি এরূপ পাইতাম কিন্তু তাকে দেখিতাম না। তিনি আরো বললেন আমি অদৃশ্যের বাণী শুনিয়া অনেক সময় ভীত হইয়া মায়ের কাছে সুটিয়া যাইতাম। মায়ের বুকের মধ্যে আসলাম আমার আম্মাজান আমার এইরূপ করিবার কারণ জানিতে চাইতেন। তিনি জিজ্ঞাসা করতেন বাবা তুমি কি কোন কিছু দেখে আসো। আমি বলতাম না আম্মাজান আমি তো খেলতে থাকি কে যেন আমায় ডাকে আমি কিছুই দেখিতে পাই না। আমার মা  বলেছেন ভয় করিও না বাবা। মহান আল্লাহ পাকের উপর ভরসা করে চলবে।  তিনি তোমাকে ভালো পথে চলার জন্য সতর্ক করিয়া দিতেছে। তুমি খেলাধুলার প্রতি নজর দিও না। সদা সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ করিও। আর আমার নিকট থেকে দূরে যাইও না। হযরত উম্মে খায়ের ফাতেমা(রহ:) তাতে তাহার অন্তরে যে ধারণা জন্মেছিল। এই বালক একদিন মস্ত বড় জ্ঞানীগুণী ওলী-আল্লাহ হইবেন। তিনিও তো ওলী-আল্লাহগনে কন্যা।
দেখিতে দেখিতে পিতা-মাতার স্নেহের ভালোবাসার মধ্যে দিয়া বড় পীর রহমাতুল্লাহ সাত বছর বয়স পার হইয়া গেল। তিনি 8 বছরে পদার্পণ করিলেন। মায়ের কাছে তিনি লেখাপড়া আরম্ভ করিয়াছেন নামাজ-রোজা করিতেছেন ধর্মীয় বিষয়ে বিভিন্ন জিজ্ঞাসা তাহার অন্তরে জাগিয়া উঠিলে মাতার নিকট হইতে যানিয়া নিতে লাগলেন। নিজের সাধ্যমত পিতা-মাতার সাংসারিক কাজকর্মেও সহযোগিতা করিতে লাগিলেন। একদা শেষ রাতে তুমি স্বপ্ন দেখলেন একজন নূরানী চেহারার ফেরেশতা তাহার নিকট বসিয়া মোলায়েম কন্ঠে বলিতেছেন হে আল্লাহর প্রিয় বান্দা আব্দুল কাদের আর ঘুমাইয়া থাকিও না জাগিয়া ওঠো আল্লাহতালা তোমাকে সুখের বিছানায় নিদ্রা যাওয়ার জন্য দুনিয়ায় পাঠান নাই তোমার উপর অনেক কাজের দায়িত্ব অর্পণ করা হইয়াছে।
 প্রায়ই তিনি এরূপ স্বপ্ন দেখতেন কথাগুলি তাহার হৃদয় গাথিয়া থাকিতো। তিনি এরূপ অল্প বয়সেই আল্লাহর ইবাদত বন্দেগিতে আত্মনিয়োগ করিলেন। পিতা-মাতার অশেষ গুন তাহার মধ্যেও ভুটিয়া উঠিতে লাগিল। বড়পীর বাল্যকালের লেখাপড়া ধর্মচর্চা ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে শুরু করেছিলেন। সবেমাত্র কথাবাত্রা বলিতে পারিতেছেন বড়পীর  মাতা তাহাকে স্থানীয় এক বুজুর্গ তাদের নিকট প্রাথমিক শিক্ষা দানের জন্য পাঠাইলেন সেদিন আবদুল কাদেরকে। তাহার উস্তাদ  বলিলেন.বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ছাত্র এই বাক্য পরিবার পর থামিবে।আবার দ্বিতীয় সবক প্রদান করিবেন ইহাই সাধারন নিয়ম।কিন্তু অন্যরকম ঘটিয়া গেল।বালক আবদুল কাদের (রহ:) বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পরিয়া আর থামিলেন না। তিনি পবিত্র কুরআন পাঠ করিতে লাগিলেন সুরা ফাতিহা এভাবে আলিফ-লাম-মীম পাঠ করিতে লাগিলেন ওস্তাদজী তাকে এই রকম মুখস্ত পাঠ করিতে দেখিয়া মনোযোগ দিয়া শুনিতে লাগিলেন। অবাক হইয়া সুমধুর কন্ঠে পবিত্র কুরআন পাঠ শুনিতে শুনিত পরার সময় অতিক্রম হইয়া গেল।এভাবে এক ঘন্টা দুই ঘন্টা এক পাড়া দুই পাড়া করে আঠারো পাড়া কোরআন তেলাওয়াত করিয়া তিনি থামিলেন। বড় পীরের অলৌকিক কান্ড দেখিয়া ওস্তাদজি বলিলেন হে প্রিয় কাদের তুমি থামলে কেন বাবা আরও পাঠ করো। তোমার তেলাওয়াত খুবই সুন্দর আমার আরো শুণিতে ইচ্ছা করিতেছে। তুমি পরিয়া যাও হযরত গাউছুল আজম বিনীতো কণ্ঠে বললেন যে আমি তো আর পারিনা।এই পযন্তই শিখিয়াছি।ওস্তাদজি বল্লেন শিখিয়াছো মানে কোথা হইতে শিখিয়াছো। উত্তরে বড়পীর আবদুল কাদের বলিলেন আমি আমার মাতৃগর্ভে থাকা কালিন সময়ে আমার মা 18 পাড়া কোরআন তেলাওয়াত করেছিল আর আমি সেই তেলাওয়াত শুনে শুনে মুখস্ত  করিয়াছিলাম।ওস্তাদজি তাহার কতা শুনিয়া অনেক খুশি হইলেন এবং আল্লাহর দরবারে দুহাত তুলিয়া দোয়া করলেন। মহান আল্লাহ তায়ালা যাহাকে অলিকুলের শেষ্ট করিয়া পাঠাইছেন তাহার পক্ষে এসব তো সামান্ন ঘটনা।


পরবর্তি অর্ধায় :
ঈদের চাদের ঘটনা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ